রাজ্যগুলির পরিকাঠামো প্রকল্পে সরাসরি বিদেশি ঋণ নেওয়ার দরজা খুলল কেন্দ্র।
বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এ নিয়ে একটি নির্দেশিকায় অনুমোদন দিয়েছে। যা মেনে বড় মাপের পরিকাঠামো প্রকল্পের জন্য তহবিল সংগ্রহ করতে দ্বিপাক্ষিক ঋণদাতা সংস্থাগুলির কাছ থেকে ধার নিতে পারবে বিভিন্ন রাজ্য। তবে আর্থিক দিক থেকে সচ্ছল রাজ্যই এ ধরনের ঋণ নিতে পারবে বলে সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। এত দিন ওই সব প্রকল্পে বিদেশি ঋণ নেওয়ার স্বাধীনতা রাজ্যের ছিল না। ভারত সরকারের মাধ্যমে তা নেওয়া হতো দ্বিপাক্ষিক ও আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থার কাছ থেকে।
অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের জানান, মুম্বই ট্রান্স হার্বার লিঙ্কের (এমটিএইচএল) মতো পরিকাঠামো প্রকল্পের দিকে তাকিয়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। এর জেরে জাপানের উন্নয়নমূলক ঋণদাতা সংস্থার কাছ থেকে সরাসরি তহবিল জোগাড় করতে পারবে মহারাষ্ট্র। সে ক্ষেত্রে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সি (জেআইসিএ)-র কাছ থেকে ঋণ নিতে পারবে মুম্বই মেট্রোপলিটান রিজিয়ন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (এমএমআরডিএ)। প্রসঙ্গত, প্রস্তাবিত এমটিএইচএল প্রকল্পটি মুম্বইয়ের সঙ্গে তার উপনগরী নভি মুম্বইকে সংযুক্ত করার জন্য ২১.৮ কিমি লম্বা একটি সড়ক সেতু নির্মাণ। শেষ হলে এটিই হবে সমুদ্রের উপর দিয়ে ভারতে দীর্ঘতম সেতু। প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ১৭,৮৫৪ কোটি টাকা। এমএমআরডিএ এ বছরের জুনের মধ্যেই প্রকল্পের বরাত দিতে চায়। নির্মাণ শুরু হওয়ার কথা অক্টোবরে। জে আই সি এ ইতিমধ্যেই ১৫,১০৯ কোটি টাকার ঋণ দিতে রাজি হয়েছে বলে ইঙ্গিত মিলেছে।
পথ বদল
• লক্ষ্য বড় পরিকাঠামো প্রকল্প
• স্বাধীন ভাবে বিদেশি ঋণ নেওয়া ও শোধ করার অধিকার রাজ্যকে
• শর্ত ভাল আর্থিক অবস্থা
• গ্যারান্টি মিলবে কেন্দ্র-রাজ্য দু’তরফেই
• এখন এ ধরনের ঋণ নিতে পারে শুধু ভারত সরকার
জেটলি এমটিএইচএল প্রকল্পটির কথা উল্লেখ করেছেন। তবে কেন্দ্রের নজরে রয়েছে এই ধরনের আরও বড় মাপের পরিকাঠামো প্রকল্প, তহবিলের অভাবে যেগুলি অনেক সময়েই আটকে যায়। প্রকল্পে রাজ্যগুলি ঋণ নেবে ও শোধও করবে। ঋণের গ্যারান্টিও দেবে সংশ্লিষ্ট রাজ্য। তবে কেন্দ্র পাল্টা গ্যারান্টি দেবে।
বর্তমান আইনে দ্বিপাক্ষিক ঋণদাতা সংস্থার কাছ থেকে কেন্দ্রীয় প্রকল্প বা রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার রূপায়ণ করা প্রকল্পের জন্য বিদেশি ঋণ নেয় ভারত সরকার। রাজ্য স্তরের প্রকল্পের জন্য সেই রাজ্য সরকারের হয়েও ঋণ নেয় ভারত সরকার। কিন্তু সরাসরি ঋণ নিতে পারে না রাজ্য সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy