ফাইল চিত্র।
কয়লা জোগানের প্রশ্নে সব দিক থেকে সতর্ক থাকতে চাইছে কেন্দ্র। তাই আমদানি করা কয়লা ব্যবহারকারী বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিকে পূর্ণ ক্ষমতায় উৎপাদনের নির্দেশ দেওয়ার পরেই তড়িঘড়ি তাদের পুঁজির সমস্যা সামলাতে মাঠে নামল তারা। পাওয়ার ফিনান্স কর্পোরেশন (পিএফসি) এবং আরইসি-কে বিদ্যুৎ মন্ত্রকের নির্দেশ, ওই কেন্দ্রগুলির মধ্যে যেগুলি আর্থিক সমস্যায় ভুগছে বা বকেয়া শোধ করতে না পারায় যেগুলির বিরুদ্ধে দেউলিয়া আইনে মামলা চলছে, তাদের স্বল্প মেয়াদে ধার দিতে হবে। উল্লেখ্য, বিদ্যুৎ সংস্থাকে প্রকল্পের জন্য ঋণ দেয় ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক সংস্থা পিএফসি এবং আরইসি।
কয়লার সরবরাহ বাড়াতে ১০০টি পুরনো খনিতে ফের উত্তোলন শুরুর সিদ্ধান্তও নিয়েছে কেন্দ্র। আগে যা হত, তার ৫০% তোলাই লক্ষ্য। জরুরি ভিত্তিতে কয়লা জোগাতে খনিগুলির পরিবেশ সংক্রান্ত বিধিনিষেধ মাস ছয়েকের জন্য শিথিল করা হয়েছে। এমনকি সে জন্য স্থানীয়দের অনুমতি নেওয়ার বাধ্যবাধকতাও আপাতত থাকবে না। কয়লা মন্ত্রকের অনুরোধেই এই সব সিদ্ধান্ত, জানিয়েছে পরিবেশ মন্ত্রক। উত্তোলন লাভজনক নয় বলে খনিগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
বিদ্যুতের চাহিদা বাড়লেও, তাল মিলিয়ে কয়লার অভাবে উৎপাদন বাড়ানো যাচ্ছে না। ফলে বহু রাজ্যের মানুষ লোডশেডিংয়ে নাস্তানাবুদ হচ্ছেন। পরিস্থিতি জটিল হতে শুরু করায় যে সব বেসরকারি বিদ্যুৎ সংস্থা আমদানি করা কয়লা ব্যবহার করে, তাদের পূর্ণ ক্ষমতায় উৎপাদনের নির্দেশ দেয় বিদ্যুৎ মন্ত্রক। যার অর্থ, বাড়াতে হবে আমদানি। রাজ্য ও যে বিদ্যুৎ উৎপাদন সংস্থাগুলি দেশের কয়লা ব্যবহার করে, তাদেরও অন্তত ১০% আমদানি করে তার সঙ্গে মেশাতে বলে। কিন্তু নির্দেশে আপত্তি তোলে বিদ্যুৎ মহলের একাংশ। তাদের বক্তব্য, বিশ্ব বাজারে কয়লার দাম বিপুল। ফলে তা কিনলে বহু বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং রাজ্য চাপে পড়বে। উপদেষ্টা সংস্থা ইক্রার হুঁশিয়ারি, এতে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থাগুলির খরচও চলতি অর্থবর্ষে ৪.৫%-৫% বাড়বে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy