ফাইল চিত্র।
বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের চড়া দর যেমন আমদানি খরচ বাড়াচ্ছে, তেমনই তা তেল সংস্থাগুলির একাংশের হাতে বিপুল মুনাফাও তুলে দিচ্ছে। অভিযোগ, কিছু বেসরকারি সংস্থা সেই টানেই পেট্রল-ডিজ়েল-বিমান জ্বালানি (এটিএফ) রফতানি করছে বেশি। তেল-শূন্য থাকছে দেশের অনেক পাম্প। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার সেগুলিতে রফতানি কর চাপাল কেন্দ্র। বাঁধল রফতানির ঊর্ধ্বসীমা। বিশেষ পরিকল্পনা বা লগ্নি না করেও ভারতের যে সব অশোধিত তেল উৎপাদনকারী শুধুমাত্র বাজারের চড়া দরের কারণে বিপুল মুনাফা করছে, তাদের উপরেও বসাল বাড়তি কর। কেন্দ্রের দাবি, এতে দেশে তেলের দামে কোনও প্রভাব পড়বে না।
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেছেন, তাঁরা রফতানি বা মুনাফার বিরুদ্ধে নন। বিশেষ পরিস্থিতিতে দেশবাসীর জন্য চাহিদা-জোগানের ভারসাম্য বজায় রাখতেই এই পদক্ষেপ। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, এই সিদ্ধান্তে সরকারেরও লাভ। বাড়তি প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকা রাজকোষে ঢুকবে। যা তেলে উৎপাদন শুল্ক ছাঁটাইয়ের পরে হারানো রাজস্বের সমান।
যুদ্ধের জেরে বিশ্ব বাজারে তেলের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। বাজারে জল্পনা, বিশেষত রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ় এবং নায়রা এনার্জি সস্তায় রাশিয়ার তেল কিনে ভারতে শোধন করে রফতানি বাড়াচ্ছে এবং প্রচুর মুনাফা করছে। অথচ মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, গুজরাতের মতো রাজ্যে বহু পাম্পে তেল থাকছে না। এ দিন রিলায়্যান্স, ওএনজিসি, অয়েল ইন্ডিয়া, ম্যাঙ্গালোর রিফাইনারি, চেন্নাই পেট্রোলিয়াম, হিন্দুস্থান অয়েল এক্সপ্লোরেশনের মতো সংস্থাগুলির শেয়ার দর অনেকটা পড়েছে।
ভারতীয় তেল উৎপাদনকারী সংস্থাগুলিও বিশ্ব বাজারের চড়া দরেই দেশের শোধনাগারগুলিকে অশোধিত তেল বেচে বিপুল মুনাফা করছিল। ব্রিটেনের মতো ভারতেও কর বসিয়ে সেই মুনাফার ভাগ চাইল সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy