প্রতিবাদ: হাঁটার সঙ্গী বাহন। নাগাড়ে তেলের দাম বাড়ানোর বিরুদ্ধে দু’চাকা হাঁটিয়ে মিছিল। মহারাষ্ট্রে ঠানের রাস্তায়। ছবি: পিটিআই।
পরিকল্পনা ছিল সাড়ম্বরে সরকারের চার বছর পূর্তির। কিন্তু সেই উৎসবের মেজাজ আর আড়ম্বরের রং অনেকটাই শুষে নিয়েছে তেলের দাম নিয়ে সাধারণ মানুষের প্রবল ক্ষোভ। এতটাই যে, সাফল্যের প্রচারের বদলে এখন পেট্রল, ডিজেলের দাম নিয়ে সাফাই দিতে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে বিজেপি নেতাদের। শীঘ্রই সমাধানের রাস্তা ঘোষণা হবে তাঁরা বলছেন ঠিকই। কিন্তু অন্তত শুক্রবার পর্যন্ত তার দেখা নেই। অনেকেই বলছেন, আসলে বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দর কমছে কি না, সে দিকে চাতক পাখির মতো তাকিয়ে রয়েছে কেন্দ্র। আর সেই সঙ্গে হাওয়ায় ভাসিয়ে দিয়েছে পেট্রোপণ্যকে জিএসটির আওতায় আনার তত্ত্ব। এ কথা জেনেই যে, চট করে সেই বদল মুখের কথা নয়।
আগের দিন তেলমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান দীর্ঘ মেয়াদি সমাধান খোঁজার আশ্বাস দিয়েছিলেন। শোনা যাচ্ছিল, রাষ্ট্রায়ত্ত তেল উত্তোলন সংস্থা ওএনজিসি-র উপরে কর বসানোর কথা। এ দিন আবার পরিবহণমন্ত্রী নিতিন গডকড়ী বলেন, ‘‘পেট্রোপণ্যে জিএসটি বসানোর কথা ভাবছে সরকার।’’ তাঁর আশা, এতে তেলের দাম অনেকটাই কমবে।
একই দাবি বণিকসভা অ্যাসোচ্যামের সেক্রেটারি জেনারেল ডি এস রাওয়াতের। তাঁর মতে, ‘‘পেট্রোপণ্যে যদি সর্ব্বোচ্চ ২৮% জিএসটিও বসে, তবু তেলের দাম অন্তত ৪০ টাকা নেমে আসবে।’’ এ নিয়ে জিএসটি পরিষদে আলোচনা চাইছেন অস্থায়ী ভাবে অর্থ মন্ত্রকের দায়িত্বে থাকা পীযূষ গয়াল। আগে এই কথা বলেছেন প্রধানও।
কিন্তু পেট্রল, ডিজেলকে এখনই জিএসটির আওতায় আনা সত্যিই কতটা সম্ভব হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিশেষজ্ঞেরা। তাঁদের প্রশ্ন, এর ফলে যে বিপুল রাজস্ব খোয়াতে হবে, কেন্দ্র তা সামাল দেবে কী ভাবে? বিশেষত কেন্দ্র যেখানে নিজেই জানিয়েছে যে, প্রতি টাকা উৎপাদন শুল্ক কমানোর জন্য ১৩,০০০ কোটি টাকা রাজস্ব খোয়াতে হয় তাদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy