আমেরিকা শুল্ক বসানোর কথা ঘোষণা করার সঙ্গে সঙ্গেই শুক্রবার প্রত্যাঘাতের হুমকি দিয়েছিল বেজিং। চব্বিশ ঘণ্টাও পার হল না। করের পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার জন্য মার্কিন পণ্যের নিশানা ঠিক করে ফেলল তারা। জানিয়ে দিল, ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশ শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্তে অটল থাকলে, ৬৫০টিরও বেশি মার্কিন পণ্যে ২৫% হারে শুল্ক চাপাবে তারা।
চিনা পণ্যের উপর চড়া আমদানি শুল্ক চাপানোর জন্য ট্রাম্প প্রশাসনকে কটাক্ষে ভরিয়ে দিতে ছাড়েনি চিনের সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম। তাদের বক্তব্য, বুদ্ধিমানরা সেতু তৈরি করেন। আর দেওয়াল তোলেন বোকারা। ইঙ্গিত কার দিকে, তা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।
ট্রাম্প প্রশাসন অবশ্য বক্তব্যে অনড়। তাদের দাবি, অবাধ বাণিজ্যের নিয়মকানুনের তোয়াক্কা করে না চিন। চাপ খাটিয়ে ও নিয়ম ভেঙে হাতিয়ে নেয় সে দেশে ব্যবসা করা মার্কিন সংস্থার মেধাস্বত্ব (পেটেন্ট)। স্থানীয় সংস্থাকে বাধা দেয় না মেধাস্বত্ব ভেঙে পণ্য তৈরিতে। সঙ্গে রয়েছে উঁচু শুল্ক-প্রাচীরও। এই সমস্ত কারণেই চিনের সঙ্গে আমেরিকার বাণিজ্য ঘাটতি অন্তত ৩৭,০০০ কোটি ডলার। যার মাসুল গুনে ফি বছর ২০ লক্ষ কাজের সুযোগ তৈরিই হয় না মার্কিন মুলুকে।