ভারতের সঙ্গে সংঘাতে একের পর এক ধ্বংস হয়েছে পাকিস্তানের চিনা হাতিয়ার। তালিকায় রয়েছে বেজিঙের তৈরি জেএফ-১৭ লড়াকু জেট ও এইচকিউ-৯পি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। কিন্তু তা সত্ত্বেও ড্রাগনের প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলির শেয়ারের দর ঊর্ধ্বমুখী। দু’দিনে ওই স্টকগুলিতে ৩৬ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি লক্ষ করা গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ৮ মে চিনের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিরক্ষা সংস্থা অ্যাভিক চেংডুর শেয়ারের দাম ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। ফলে প্রায় ৮৪ ইউয়ানে পৌঁছে যায় ওই স্টক। শেষ পাঁচটি লেনদেনের দিনে সংশ্লিষ্ট সংস্থাটির শেয়ারের দাম ৪৩ শতাংশ বেড়েছে। ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের মধ্যে এটি সর্বোচ্চ বৃদ্ধি বলে জানা গিয়েছে।
এ ছাড়া হ্যাং শেং চায়না অ্যারোস্পেস অ্যান্ড ডিফেন্স নামের প্রতিরক্ষা সংস্থার শেয়ারের দাম তিন থেকে চার শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে এর স্টক বর্তমানে ৪,২৯০ ইউয়ানে ঘোরাফেরা করছে। ব্রোকারেজ ফার্মগুলির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত দু’দিনে রকেট গতিতে বেড়েছে এর শেয়ারের দাম। আপাতত এই পরিস্থিতি বজায় থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।
পাশাপাশি, চেংডু তিয়ানজ়িয়ান টেকনোলজি, সান ক্রিয়েট ইলেকট্রনিক্স এবং চেংডু এএলডি এভিয়েশনের মতো ড্রাগনভূমির প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলির স্টকে দাম বেড়েছে ১০ শতাংশ। সংঘাতের পরিস্থিতি বজায় থাকলে এই শেয়ারগুলিতে ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি লক্ষ করার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দীর্ঘকালীন মেয়াদে চিনা প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলির শেয়ারের দাম কমবে বলে স্পষ্ট করেছেন আর্থিক বিশ্লেষকেরা।
উল্লেখ্য, ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে রফতানি করা হাতিয়ারের ৬০ শতাংশই পাকিস্তানকে সরবরাহ করে চিন। সেই তালিকায় রয়েছে জেএফ-১৭ লড়াকু জেট এবং এইচকিউ-৯পি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মতো হাতিয়ার। গত ৭ মে থেকে ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধলে ইসলামাবাদের দু’টি জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান ধ্বংস করে এ দেশের বাহিনী। লাহৌরে ড্রোন হামলা চালিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হয় চিনা এইচকিউ-৯পি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
বিশ্লেষকদের দাবি, যুদ্ধের ময়দানে এ ভাবে একের পর এক বেজিঙের তৈরি অস্ত্র ধ্বংস হওয়ায় এগুলির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। ফলে হাতিয়ারের বাজারে আগামী দিনে প্রতিযোগিতায় চিনের পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা প্রবল। সে ক্ষেত্রে এই সংস্থাগুলির শেয়ারের দাম যে নিম্নমুখী হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।