Advertisement
E-Paper

নামেই আসে-যায়, পরিচয় বদল চায় ‘দাগি’ চিটফান্ড 

কথায় বলে, নামে আর কী আসে-যায়? সারদার মতো হাজারো কেলেঙ্কারির গুঁতোয় চিটফান্ডগুলি অবশ্য নামের গেরো টের পেয়েছে হাতেনাতে। আর তাই এখন পরিচিতি থেকে ওই ‘চিটফান্ড’ শব্দবন্ধই ঝেড়ে ফেলতে মরিয়া তারা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০১৮ ০১:০০

কথায় বলে, নামে আর কী আসে-যায়? সারদার মতো হাজারো কেলেঙ্কারির গুঁতোয় চিটফান্ডগুলি অবশ্য নামের গেরো টের পেয়েছে হাতেনাতে। আর তাই এখন পরিচিতি থেকে ওই ‘চিটফান্ড’ শব্দবন্ধই ঝেড়ে ফেলতে মরিয়া তারা।

লোকমুখে সারদা, রোজভ্যালির মতো বেআইনি অর্থ লগ্নি সংস্থাগুলি চিটফান্ড নামে পরিচিত। কিন্তু বাস্তবে চিটফান্ড বেআইনি নয়। বরং গরিব মানুষ বিপদে-আপদে অর্থের প্রয়োজনেই সেখানে অংশ নেয়। তাই অর্থ মন্ত্রকের সংসদীয় কমিটির সামনে চিটফান্ড সংগঠনগুলির আর্জি, তাদের সংস্থাগুলির নামের সঙ্গে চিট ফান্ড কথাটি আর জুড়ে না রেখে বরং ‘রোসকা’ বা রোটেটিং সেভিংস অ্যান্ড ক্রেডিট অ্যাসোসিয়েশন সংস্থা লিখতে দেওয়া হোক। কারণ, ওই প্রকল্পে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে এক জন করে ফি মাসে ধার নেন।

সম্প্রতি চিটফান্ড আইন সংশোধনে বিল এনেছে কেন্দ্র। সেখানে চিট ফান্ডকে ‘সৌভ্রাতৃত্ব ফান্ড’ বলা হয়েছে। বিলটিতে বলা হয়েছে— সংশ্লিষ্ট রাজ্যের আগাম অনুমতি ছাড়া চিটফান্ড তৈরি করা যাবে না। বিল নিয়ে আলোচনার পরে সংসদীয় কমিটিরও সুপারিশ, চিট ফান্ড সংস্থাকে ‘রোসকা ফান্ড’ বলতে দেওয়ার আর্জি বিবেচনা করা হোক।

কমিটির যুক্তি, জরুরি প্রয়োজনে এখনও সাধারণ মানুষকে চড়া সুদে মহাজনদের কাছে ধার নিতে হয়। ব্যাঙ্ক সব জায়গায় পৌঁছয়নি। সেই অভাব মেটাতে চিটফান্ডের প্রয়োজনীয়তা আছে। প্রতারণা রুখতে আইন কড়া করতে হবে। কিন্তু চিটফান্ডেরও আধুনিকীকরণ জরুরি।

গাড়ি থেকে বাড়ি, সোনা থেকে শেয়ার, বিমা থেকে মিউচুয়াল ফান্ড - বিনিয়োগের সাতকাহন আমাদের ব্যবসা বিভাগে।

Chit fund Company Identity
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy