একের পর এটিএম প্রতারণার ঘটনা নিয়ে এখন উত্তাল রাজ্য। ব্যাঙ্কিং মহল সূত্রের খবর, এই প্রতারণায় অন্যের অ্যাকাউন্ট ‘ভাড়া’ নেওয়ার ঘটনাও ঘটছে। অনেক সময়ে জেনে বা না-জেনেও জড়িয়ে পড়ছেন বিশেষত গ্রামের সাধারণ মানুষের একাংশ, যাঁদের জ়িরো ব্যালান্স অ্যাকাউন্ট আছে।
ব্যাঙ্ককর্তারা জানাচ্ছেন, সাধারণত জালিয়াতির প্রতিটি ধাপে আলাদা চক্র কাজ করে। এ ক্ষেত্রে টাকা সরানোর জন্য দু’টি পদ্ধতি ব্যবহার হয়। এক, নকল এটিএম (ক্লোন) কার্ডের মাধ্যমে সরাসরি এটিএম থেকেই টাকা তোলা বা অন্য কোনও গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট ‘ভাড়া’ নেওয়া। ব্যাঙ্কিং মহলের মতে, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে যাঁদের ‘জ়িরো ব্যালান্স’ অ্যাকাউন্ট আছে, সেই সব গ্রাহকই প্রতারকদের লক্ষ্য। তাঁদের অ্যাকাউন্ট ‘ভাড়া’ নিয়ে প্রতারিত গ্রাহকের টাকা সেখানে পাঠানো হয় ও সঙ্গে সঙ্গেই তা তুলে নেওয়া হয়। সে জন্য সমস্ত ব্যাঙ্ক গ্রাহককেই সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন ব্যাঙ্ককর্তারা।
প্রশ্ন হল, এই প্রতারণা ঠেকাতে ব্যাঙ্কগুলি কী ব্যবস্থা নিচ্ছে? এক ব্যাঙ্ককর্তা বলেন, ‘‘ডেবিট কার্ড (নকল হলেও) ও পিন ব্যবহার করে এটিএম থেকে টাকা তোলা বা সরানো হলে তা রোখার জন্য আগাম ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব নয়। কারণ, ওই লেনদেন গ্রাহক নিজে করছেন, নাকি প্রতারক করছে, তা বোঝা সম্ভব নয়।’’ তবে একই সঙ্গে তিনি জানান, প্রতিটি ব্যাঙ্কেরই ‘প্রোঅ্যাকটিভ রিস্ক মনিটরিং’ ব্যবস্থা রয়েছে। কোনও অ্যাকাউন্ট থেকে অল্প সময়ের মধ্যে ঘন ঘন টাকা তোলা হলে ওই ব্যবস্থায় তা ধরা পড়ে। তখন দ্রুত অ্যাকাউন্ট বন্ধ বা ব্লক করা হয়। জানানো হয় গ্রাহককেও। কিন্তু ওই টাকা কোন অ্যাকউন্টে জমা পড়ছে, তা দ্রুত চিহ্নিত করার মতো ব্যবস্থা চালু করা এখনও সম্ভব হয়নি।