ভারতের বাজারে পুঁজি ঢালায় আদতে কোন লগ্নিকারী উপকৃত হয়েছেন, গত সোমবারের মধ্যে শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি-কে সেই তথ্য দেওয়ার কথা ছিল বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির। কোন কোন সংস্থা সেই নিয়ম মেনেছে এবং কারা মানেনি, বুধবার তা জানতে চাইল কংগ্রেস। স্পষ্ট করতে বলল বিশেষত আদানি কাণ্ডে নাম জড়ানো বিদেশি তহবিলগুলি বিধি পালন করেছে কি না, সেই কথাও। পাশাপাশি আজ একটি রিপোর্ট তুলে ধরে আক্রমণ শানিয়েছে বিরোধী শিবির। অভিযোগ, আদানিদের দেওয়া বরাতের সুযোগ নিয়ে আইনের ফাঁক গলে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক আছে এমন সংস্থার বাজারদর বেআইনি ভাবে ফুলেফেঁপে উঠেছে। বিধিভঙ্গের নতুন অভিযোগ তুলে আবারও যৌথ সংসদীয় কমিটিকে (জেপিসি) দিয়ে তদন্ত করানোর দাবি তুলেছে বিরোধী দলটি।
একটি রিপোর্ট তুলে ধরে এক্স-এ রমেশের দাবি, ২০১৮ সালে ডায়মন্ড পাওয়ার ইনফ্রা দেউলিয়া আদালতে যায়। ২০২২-এ তাকে ৫০১ কোটি টাকায় কেনেন আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার গৌতম আদানির এক আত্মীয়। তখন তার বাজারদর ছিল ১০০০ কোটি। ওই বছরে সংস্থার ব্যবসা ছিল না। কিন্তু ২০২৩-২৪ সালে মূলত আদানিদের বরাতে ভর করে তাদের আয় পৌঁছয় ৩৪৪ কোটিতে। এখন বাজারদর সাত গুণ বেড়ে হয়েছে ৭৬২৬ কোটি। যেহেতু গোষ্ঠীর বা সংস্থার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত কারও সঙ্গে লেনদেনের অধীনে (রিলেটেড পার্টি ট্রান্জ়াকশন) এই লেনদেন পড়ে না, তাই কোনও পক্ষই সেটা বার্ষিক রিপোর্টে উল্লেখ করেনি। রমেশের দাবি, সেবি-র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নের মধ্যে এই ঘটনা নিয়ন্ত্রণ পরিকাঠামোর ঘাটতিকেই তুলে ধরে। জেপিসি-ই পারে পুরো বিষয়টি খোলসা করতে।
এ দিকে, সেবি-র নিয়ম মানতে সময় চেয়ে স্যাটে গিয়েছে মরিশাসের এটিএস ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ও লোটাস গ্লোবাল ইনভেস্টমেন্ট। যাদের নাম জড়িয়েছে আদানি কাণ্ডে। রমেশের প্রশ্ন, ‘মোদানি’ (মোদী ও আদানি) কাণ্ডের তদন্তের জন্য নিয়ম মানা নিশ্চিত করতে সেবি-র পরিকল্পনা কী?
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)