—প্রতীকী চিত্র।
কেন্দ্রীয় সরকারের পরিসংখ্যান জানাল, আরও মাথা নামিয়েছে খুচরো বাজারের মূল্যবৃদ্ধি। জানুয়ারিতে তার হার তিন মাসে সব থেকে কম, ৫.১%। কিন্তু তার পরেও দুশ্চিন্তা কাটল না। কারণ খাদ্যপণ্যের দাম এখনও চড়ে থাকার ইঙ্গিত দিয়েছে সেগুলির ৮.৩% দর বৃদ্ধি। তার উপর এ দিনই প্রকাশিত আর এক সরকারি পরিসংখ্যানে স্পষ্ট, দেশে আর্থিক কর্মকাণ্ড বাড়লেও শিল্পোৎপাদন এখনও ঢিমে। যে কারণে ডিসেম্বরের শিল্প বৃদ্ধি থমকেছে ৩.৮ শতাংশে। কল-কারখানায় উৎপাদন বেড়েছে। কিন্তু বেশি নয়। আর্থিক কর্মকাণ্ড বাড়লে যেগুলির চাহিদার মাথা তোলার কথা, সেই বিদ্যুৎ এবং মূলধনী পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধিও তলানিতে। প্রশ্ন উঠছে, অর্থনীতির ছন্দে ফেরা বা চড়া আর্থিক বৃদ্ধির যে সম্ভাবনা ভারতকে আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় এগিয়ে রাখছে বলে দাবি করছে সরকারি মহল, তার প্রতিফলন শিল্প বৃদ্ধিতে কেন পড়ছে না? সেটা না হলে বেকারত্ব কমবেই বা কী করে!
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ডিসেম্বরের ৯.৫৩ শতাংশের তুলনায় গত মাসে কমে ৮.৩% হয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এই হার যথেষ্ট চড়া। বাজারে তার আঁচও পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সরকারি হিসাবই বলছে, গত মাসে শস্যের দাম বেড়েছে ৭.৮৩%, আনাজের ২৭.০৩%, ডাল এবং ডালজাত পণ্যের ১৯.৫৪%, মশলার ১৬.৩৬%, ফলের ৮.৬৫%। মাছ-মাংস ও ডিমের ক্ষেত্রে দাম বৃদ্ধির হার যথাক্রমে ১.১৯% এবং ৫.৬%। তবে সম্প্রতি সংসদে অর্থমন্ত্রী দাবি করেছেন, মূল্যবৃদ্ধি অবশেষে নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বিভিন্ন পক্ষের যদিও বক্তব্য, লোকসভা ভোটের মুখে এখনও দাম সরকারের বড় মাথাব্যথা। দুশ্চিন্তা বহাল বলেই রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক সাম্প্রতিক ঋণনীতিতে সুদ স্থির রেখে মূল্যবৃদ্ধিতে নজর রাখার বার্তা দিয়েছে। উল্লেখ্য, ডিসেম্বরে মূল্যবৃদ্ধির হার ছিল ৫.৬৯% এবং ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ৬.৫২%।
অন্য দিকে, নভেম্বরের ২.৪ শতাংশের চেয়ে দেশে শিল্পবৃদ্ধির হার ডিসেম্বরে মাথা তুলেছে বটে। কিন্তু উৎপাদন ক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার বছরের নিরিখে সামান্য। গত ডিসেম্বরে হয়েছে ৩.৯%, ২০২২-এ ছিল ৩.৬%। বিদ্যুতে ১০.৪% থেকে কমে হয়েছে ১.২%। খননে ১০.১% থেকে ৫.১%। মূলধনী পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধির হার ৭.৮% থেকে নেমেছে ৩.২ শতাংশে। অন্য পণ্য তৈরিতে লাগে এমন কাঁচামাল, স্বল্প মেয়াদি ভোগ্যপণ্য, নির্মাণ ও পরিকাঠামো সামগ্রীর ক্ষেত্রেও ছবিটা উদ্বেগের। মূল্যায়ন সংস্থা ইক্রার অবশ্য দাবি, বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নতির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। জানুয়ারির হিসাবে তা ধরা পড়তে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy