বিরল খনিজের রফতানিতে চিন বিধিনিষেধ চাপানোর পরেই তাদের পণ্যে অতিরিক্ত ১০০% শুল্ক বসানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যা ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে। কিন্তু এর পরেও নমনীয় হওয়ার কোনও লক্ষণ দেখাচ্ছে না বেজিং। আজ তাদের বাণিজ্য মন্ত্রকের বার্তা, হুমকি দিয়ে লাভ হবে না। আমেরিকা চাইলে আলোচনা মাধ্যমে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করতে পারে। না হলে চিনও নিজেদের অধিকার প্রয়োগ করবে। এক বিবৃতিতে মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেছেন, ‘‘চিনের অবস্থান স্পষ্ট। আমরা বাণিজ্য যুদ্ধ চাই না। কিন্তু তেমনটা ঘটলে ভয়ও পাই না।’’
আন্তর্জাতিক রাজনীতির বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, গাজ়ায় সংঘর্ষ বিরতি শুরু হওয়ায় সমস্ত মহলে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছিল। ঠিক তখনই বিশ্বের বৃহত্তম দুই অর্থনীতির মধ্যে নতুন করে মাথাচাড়া দেওয়া শুল্ক যুদ্ধ উদ্বেগ বাড়াল।
সম্প্রতি চিনের মাটিতে বিদেশি সংস্থার উত্তোলন ও প্রক্রিয়াকরণ করা বিরল খনিজের রফতানিতে বেশ কিছু বিধিনিষেধ চাপিয়েছে বেজিং। চিন থেকে বিদেশি সংস্থাগুলির রফতানি করা পণ্যে বিন্দুমাত্র বিরল খনিজের উপস্থিতি থাকলেও তার জন্য বিশেষ অনুমতি নিতে হবে। সেই সঙ্গে ঘোষণা করতে হবে, তা প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের যন্ত্রপাতি তৈরিতে ব্যবহার করা হবে না, লাগাতে হবে সাধারণের ভোগ্যপণ্য তৈরির কাজে। বেজিংয়ের যুক্তি, বিশ্ব শান্তি সুনিশ্চিত করতেই তা প্রয়োজন। তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে শুল্ক চাপিয়েছেন ট্রাম্প।
আজ চিন পাল্টা জবাবে বলেছে, ‘‘ঘন ঘন হুমকি দিয়ে আমাদের নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। আমেরিকা যদি একগুঁয়েমি বন্ধ না করে, তা হলে চিনও স্বার্থ রক্ষার জন্য নিজেদের অধিকার প্রয়োগ করবে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)