আমেরিকার মুদ্রার নিরিখে টাকার দর এখন ঐতিহাসিক তলানিতে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের ৫০% আমদানি শুল্কের ধাক্কায় ১ ডলারের দাম দাঁড়িয়েছে ৮৮.০৯ টাকা। ফলে রফতানি ক্ষেত্রে চাপের পাশাপাশি বেড়েছে আমদানি খরচ বৃদ্ধির আশঙ্কাও। ভারতীয় মুদ্রার ধারাবাহিক ক্ষয় ঘিরে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রাক্তন মুখ্য অর্থনীতিবিদ কৌশক বসু। কেন্দ্রকে আক্রমণ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা।
শনিবার কৌশিক এক্স-এ লিখেছেন, ‘‘ভারতীয় মুদ্রার দাম আবারও পড়েছে। ১ ডলার দিয়ে এখন ৮৮ টাকারও বেশি কেনা যাবে। এমন আগে কখনও ঘটেনি। ভারতীয় অর্থনীতির মৌলিক শক্তি যথেষ্ট হলে এমনটা হত না। এই অবস্থায় রাজনীতিকে নীতি নির্ধারণের থেকে দূরে রাখা দরকার।’’ সংশ্লিষ্ট মহলের ব্যাখ্যা, টাকার পতন দেশের উৎপাদন ক্ষেত্রকে দু’দিক দিয়ে ধাক্কা দিতে পারে। প্রথমত, রফতানি কমলে উৎপাদন বিঘ্নিত হবে। দ্বিতীয়ত, ডলার শক্তি বাড়ালে মূলধনী পণ্য আমদানির খরচ বাড়বে। তাতেও ধাক্কা লাগতে পারে উৎপাদনে। তাদের বক্তব্য, টাকার পতন ঠেকাতে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক কোনও রকম হস্তক্ষেপ করে কি না, সে দিকে নজর রাখতে হবে। এ দিন কংগ্রেস সেবাদল তাদের এক্স অ্যাকাউন্টে লিখেছে, ‘‘ডলার ৫০ টাকা পার করার সময়ে যারা কান্নাকাটি করছিল, তাদের মুখ এখন বন্ধ। মনে করে দেখুন, ২০১৩ সালে বিজেপি কী ধরনের জঘন্য মন্তব্য করেছিল— টাকা প্রয়াত মনমোহন সিংহের বয়সের থেকে দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে।’’ এই পোস্টের সঙ্গে গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপি নেত্রী নির্মলা সীতারামনের বক্তব্যের ভিডিয়ো জুড়ে দিয়েছে তারা।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)