ফাইল চিত্র।
অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগের মধ্যেই কিছুটা উজ্জ্বল ছবির আভাস মিলল মঙ্গলবার।
আটটি পরিকাঠামো শিল্পে উৎপাদন অগস্টে ৪.৯% বেড়েছে বলে জানিয়েছে সরকারি পরিসংখ্যান। পাশাপাশি, এ দিনই কল-কারখানার উৎপাদন কিছুটা ছন্দে ফেরার পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা আইএইচএস মার্কিট। সেপ্টেম্বরে করা সমীক্ষার ভিত্তিতে তারা এই রুপোলি রেখার ইঙ্গিত দিয়েছে। উৎপাদন বৃদ্ধি, নতুন বরাত বাড়ার হাত ধরে পরপর দু’মাস শিল্পের চাকা এগোনোর আগাম হিসেব তারা দিয়েছে সমীক্ষায়। তবে একই সঙ্গে ২০১৭-’১৮ সালের জন্য ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস ছাঁটাই করেছে আইএইচএস মার্কিট। গত মাসে ৭.৩% বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিলেও এখন তা কমিয়ে করা হয়েছে ৬.৮ %।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী পরিকাঠামো শিল্পে প্রায় ৫% উৎপাদন বেড়েছে মূলত কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস ও বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের উপর ভর করে। কয়লা, অশোধিত তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, শোধনাগারের পণ্য, ইস্পাত, সার, সিমেন্ট ও বিদ্যুৎ এই আটটি পরিকাঠামো শিল্পে গত অগস্টে উৎপাদন বেড়েছিল ৩.১% হারে। এ বছরের জুলাইয়ে তা ছিল ২.৬% (সংশোধিত)। অগস্টে কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস ও বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে যথাক্রমে ১৫.৩%, ৪.২% ও ১০.৩%। সার্বিক শিল্প বৃদ্ধির হিসেবে পরিকাঠামো শিল্পের গুরুত্ব ৪১%। সেই কারণে অগস্টে শিল্পোৎপাদন বাড়বে বলেও আশা করছে কেন্দ্র।
পাশাপাশি, আইএইচএস মার্কিটের নিক্কেই ইন্ডিয়া পার্চেজিং ম্যানেজার্স ইন্ডেক্স সেপ্টেম্বরে ছুঁয়েছে ৫১.২ (অগস্টে তা প্রায় এক জায়গাতেই ছিল)। জিএসটি চালুর পরে এটিকে ব্যবসার হাল ফেরার ইঙ্গিত বলে মনে করছে মার্কিট। এই সূচক ৫০-এর উপরে থাকা মানে কারখানার উৎপাদন বাড়ার ইঙ্গিত। তার নীচে নামলে তা উৎপাদন সরাসরি কমার লক্ষণ। এই সূচক হিসাবের জন্য বেশ কিছু সংস্থার পণ্য-পরিষেবার চাহিদা, নতুন বরাত, মজুত ভাণ্ডার, উৎপাদন, জোগান ইত্যাদির উপর প্রতি মাসে সমীক্ষা চালানো হয়। আইএইচএস মার্কিটের অর্থনীতিবিদ আশনা দোধিয়া বলেন, ‘‘জিএসটি চালুর পরে যে-ধাক্কা জুলাইয়ে এসেছিল, তা কাটিয়ে উঠছে শিল্প।’’ তবে বৃদ্ধির পূর্বাভাস ছাঁটাইয়ের কথাও জানান তিনি।
এ দিকে শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী সুরেশ প্রভু এ দিন ছোট শিল্পের সমস্যা বুঝতে বৈঠক করেছেন আরএসএসের আওতায় থাকা সংগঠন লঘু উদ্যোগ ভারতীর সঙ্গে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy