—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট প্রকাশের পর থেকে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ আনছে কংগ্রেস। আক্রমণ শানাচ্ছে মোদী সরকারের বিরুদ্ধেও। সোমবার একই উদ্দেশ্যে সংবাদমাধ্যমের আরও একটি রিপোর্ট তুলে ধরল তারা। সেই সঙ্গে ফের দাবি জানাল যৌথ সংসদীয় কমিটিকে (জেপিসি) দিয়ে তদন্তের।
এ দিন এক্স-এ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশের দাবি, আদানিদের বেআইনি আর্থিক লেনদেন, বিদেশে টাকা পাচার করে তা ভারতের শেয়ার বাজারে ফেরানোর বিষয়গুলি স্পষ্ট হয়েছে সংবাদমাধ্যমের খবরে। এই সমস্ত ঘটনায় উঠে এসেছে দু’টি নাম। চ্যাং চুং-লিং এবং নাসের আলি শাবান আলি।
সংবাদমাধ্যমের খবরকে উল্লেখ করে কংগ্রেস নেতার আরও অভিযোগ, চ্যাং, আলি এবং তাঁদের ঘনিষ্ঠদের পরিচালিত সংস্থা আদানি গোষ্ঠীর মাধ্যমে নির্মাণ প্রকল্পের বিপুল বরাত পেয়েছিল। আর হো এঞ্জিনিয়ারিং নামে সেই সংস্থার সঙ্গে আদানিদের কোনও সম্পর্ক নেই, তা লিখতে অপারগতার জন্যই গত অগস্টে আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকনমিক জ়োনের অডিটর হিসেবে ইস্তফা দিতে হয়েছিল ডেলয়েট হাসকিনস অ্যান্ড সেলসকে। মালিকানার জটিল কাঠামোর মাধ্যমে মরিশাস ভিত্তিক হো এঞ্জিনিয়ারিংয়ের সঙ্গে গৌতম আদানির দাদা বিনোদ আদানি ও চ্যাংয়ের ছেলে চ্যাং চিয়েন-টিংয়ের যোগাযোগ আছে বলেও দাবি করা হয়েছে সংবাদমাধ্যমের খবরে।
রমেশের দাবি, আদানিদের আমদাবাদের দফতর থেকেই হো এঞ্জিনিয়ারিংয়ের অফিস চলত এবং ২০০৮ সাল থেকে কয়েক জন ব্যক্তি দুই সংস্থারই ডিরেক্টর ছিলেন। কংগ্রেস নেতার আরও বক্তব্য, ‘‘এত তথ্য থাকা সত্ত্বেও আদানিরা কী ভাবে বিভিন্ন সরকারি নিয়ন্ত্রকের তদন্ত এড়াতে পারল সেটাই ভারতের কর্পোরেট জগতের বৃহত্তম রহস্য।... প্রধানমন্ত্রী যে তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধুর বিরুদ্ধে তদন্তে বিন্দুমাত্র আগ্রহী নন তা স্পষ্ট। সে কারণেই জেপিসি দরকার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy