প্রতীকী ছবি
করোনার কাঁপুনি থামছে না শেয়ার বাজারে। এই ভাইরাসের জেরে বিশ্ব জুড়ে আর্থিক মন্দা তৈরির আশঙ্কায় বুধবার সেনসেক্স এক ধাক্কায় পড়ল ১৭০৯.৫৮ পয়েন্ট। থামল ২৮,৮৬৯.৫১ অঙ্কে। তিন বছর পরে সূচক ফিরল ২৮ হাজারের ঘরে। এ দিন নিফ্টিও ৪৯৮.২৫ পয়েন্ট পড়ে থেমেছে ৮৪৬৯ অঙ্কে।
শুধু ভারতই নয়। গত কয়েক দিনের মতো বিশ্ব বাজারেও অস্থিরতা বহাল। পড়েছে এশিয়া ও ইউরোপের সূচক। মার্কিন শেয়ার বাজারে এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচকটি ফের ৭% পড়ে যাওয়ার ১৫ মিনিটের জন্য বন্ধ রাখতে হয় লেনদেন। খোলার পরে তা আরও নামে। ২০০০ পয়েন্টের বেশি পড়ে ১৯ হাজারের ঘরে নেমেছে আর এক মার্কিন সূচক ডাও জোন্স-ও।
বাজার বিশেষজ্ঞদের মধ্যে অনেকেরই আশঙ্কা, এটাই শেষ নয়। প্রস্তুত থাকতে হবে সূচকের আরও পতন দেখার জন্য। স্টুয়ার্ট সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান কমল পারেখ বলেন, ‘‘করোনার ফলে এখন তো ক্ষতি হচ্ছেই। এর প্রকোপ হয়তো কিছু দিন বাদে কেটে যাবে। কিন্তু এর ফলে বিশ্বের অর্থনীতির যে ক্ষতি হবে, তা পূরণ করতে অনেকটাই সময় লাগবে। নোটবন্দির পরে করোনার সমস্যায় ভারতের অর্থনীতি ফের বড় ধাক্কা খেতে পারে। অর্থনীতি মজবুত না-হয়ে শেয়ার বাজার চাঙ্গা হবে, এ রকম আশা না-করাই ভাল।’’ উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই ভারতের বৃদ্ধির পূর্বাভাস ছেঁটেছে মুডি’জ়। আর এ দিন এসঅ্যান্ডপি-ও বলেছে, চলতি বছরে বৃদ্ধি আটকে থাকবে ৫.২ শতাংশে।
আবার এ দিনই সুপ্রিম কোর্ট ফের জানিয়েছে যে, টেলি সংস্থাগুলিকে আদালতের নির্দেশ মতোই স্পেকট্রাম ও লাইসেন্স ফি বাবদ পুরো বকেয়াই মেটাতে হবে। এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে ওই সব সংস্থার ও ব্যাঙ্কের শেয়ারদরে।
তার উপরে করোনার মোকাবিলায় আমেরিকা-সহ বেশ কিছু দেশ বিপুল ত্রাণের কথা বললেও তাতে আদৌ কাজ হবে কি না, সেই সন্দেহ ক্রমশ গাঢ় হচ্ছে। বিশ্ব ক্রমশই মন্দার দিকে এগোচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। সেই ধারণা দানা বাঁধছে লগ্নিকারীদের মনেও। তাই তারা শেয়ার বেচে হাতের টাকা তুলে নিচ্ছে। ফলে নামছে বিভিন্ন দেশের বাজার। ভারতেও বুধবার বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি বিক্রি করেছে ৫,০৮৫.৩৫ কোটি টাকার শেয়ার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy