সম্প্রতি দেশে গৃহস্থের ব্যবহারের (১৪.২ কেজি) রান্নার গ্যাসের দাম সিলিন্ডারে ১০০ টাকা কমিয়েছে মোদী সরকার। তার পরেই মানুষের আর্থিক বোঝা কমানোর সদিচ্ছার প্রশ্নে শুরু হয়েছে কেন্দ্র-বিরোধী চাপানউতোর। ইউপিএ জমানার হিসাব দেখিয়ে বিরোধী কংগ্রেসের দাবি, তখন রান্নার গ্যাসে ভর্তুকি হিসাবে বিপুল টাকা দেওয়া হত। ফলে মানুষ ৩৯৯-৪১৪ টাকায় সিলিন্ডার পেতেন। বিশ্ব বাজারে জ্বালানির দাম চড়ায় দেশে সিলিন্ডার দামি হলেও, তা বিপাকে ফেলেনি তাঁদের। বিরোধীদের অভিযোগ, নরেন্দ্র মোদীর আমলে গ্যাসের খরচ তো বেড়েইছে। সেই সঙ্গে সাধারণের জন্য ভর্তুকি কোথাও শূন্য, কোথাও নামমাত্র। চড়া মূল্যবৃদ্ধির আবহে তাতে কার্যত নাভিশ্বাস আমজনতার। এর পাল্টা হিসেবে তেলমন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরীর জবাব, ইউপিএ জমানায় গ্যাস সংযোগেরই অভাব ছিল। বহু মানুষের ঘরে তা পৌঁছত না। যে ভর্তুকি সরকার দিত, তা অধিকাংশ সময়েই পেতেন অযোগ্যেরা। আদতে কারা সেই সুবিধা পেতেন, তা নিয়ে তদন্ত করা উচিত।
উল্লেখ্য, ইউপিএ জমানায় বছরে ১২টি সিলিন্ডারে ভর্তুকি মিলত। তার বেশি হলে বাজারদরে কিনতে হত। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, ভর্তুকির প্রশ্নে ভোটের মুখে চড়তে থাকা কাজিয়াও রাজনৈতিক ভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। বিশেষ করে কোভিড ও চড়া মূল্যবৃদ্ধি যেহেতু মধ্যবিত্ত মানুষের একাংশকেও আর্থিক ভাবে বিপাকে ফেলেছে। যাঁরা উজ্জ্বলা যোজনার আওতায় না পড়ায় ওই প্রকল্পের ভর্তুকির সুবিধা (কলকাতায় প্রায় ৩১৯ টাকা) পাচ্ছেন না।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)