E-Paper

বিদেশি মুদ্রা লেনদেনে মতবিরোধ

আইএমএফের বক্তব্য, টাকার দামে স্থিতিশীলতার জন্য প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ডলার কেনাবেচা করেছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। ভারতীয় মুদ্রার পতন তেমন ভাবে হওয়ার আগেই হস্তক্ষেপ করেছে তারা।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৮:১৪
An Image Of Reserve Bank Of India

রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। —ফাইল চিত্র।

অর্থনীতির মৌলিক উপাদান এবং বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য না রেখেই টাকার দামে স্থিতিশীলতা আনার জন্য রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক বিদেশি মুদ্রা কেনাবেচা করেছে বলে এক রিপোর্টে মন্তব্য করল আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডার (আইএমএফ)। এ ব্যাপারে ভারতের শীর্ষ ব্যাঙ্কের ভূমিকার মূল্যায়নও বদল করেছে তারা। যদিও রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের দাবি, আইএমএফের দৃষ্টিভঙ্গি যুক্তিযুক্ত তো নয়ই, ভুলও।

আইএমএফের বক্তব্য, টাকার দামে স্থিতিশীলতার জন্য প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ডলার কেনাবেচা করেছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। ভারতীয় মুদ্রার পতন তেমন ভাবে হওয়ার আগেই হস্তক্ষেপ করেছে তারা। তাই ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ভারতে বিদেশি মুদ্রা লেনদেনের মূল্যায়ন ‘ফ্লোটিং’ থেকে পরিবর্তন করে ‘স্টেবিলাইজ়ড অ্যারেঞ্জমেন্ট’ শ্রেণিভুক্ত করা হয়েছে। টাকা ও ডলারের বিনিময়মূল্য স্বাধীন ভাবে ওঠানামা করলে সে ব্যবস্থাকে ‘ফ্লোটিং’ বলা হয়। আর মুদ্রার দামকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডলার কেনাবেচা করা হলে বলা হয় ‘স্টেবিলাইজ়ড অ্যারেঞ্জমেন্ট’।

রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের অবশ্য পাল্টা বক্তব্য, তারা দেশের অর্থনীতির স্বার্থে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেছে। ডলারের সাপেক্ষে টাকার পতনকে বাজারের উপরে নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে ছেড়ে দিলে অর্থনীতির ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে বিদেশি মুদ্রার ভান্ডার এবং আমদানি শিল্পে। এই প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করিয়ে দিচ্ছে, গত অক্টোবরে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস মন্তব্য করেছিলেন, তাঁদের বিদেশি মুদ্রা কেনাবেচার পদক্ষেপকে বাহ্যিক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখলে চলবে না। গভীর ভাবে বিশ্লেষণ জরুরি।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Reserve Bank of India (RBI) Foreign Exchange Transaction debate

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy