গরমে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ঘাটতি যাতে না হয় তার জন্য ইতিমধ্যেই তিন লক্ষ টন কয়লা আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। গ্রীষ্মের চাহিদা মেটাতে চলতি মাস থেকে ডিভিসির রঘুনাথপুর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকেও দিনে ২০০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ কেনার জন্য চুক্তি করেছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা। তা সত্ত্বেও জুন থেকে অগস্টের মধ্যে কোনও কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়লে তা সামাল দিতে অতিরিক্ত ৩০০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ কিনতে দরপত্র চেয়েছে তারা। প্রয়োজনে জুন থেকেই সেই বিদ্যুৎ কেনা হবে।
বিদ্যুৎ শিল্প মহলের একাংশের বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গে বিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত বলে দাবি করা হয়। পাশাপাশি রাজ্যের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির যা উৎপাদন ক্ষমতা এবং দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি রয়েছে তাতে ২০২০ সাল পর্যন্ত দিনের সর্বোচ্চ চাহিদা মিটিয়েও কমপক্ষে ১,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত থাকার কথা। তা হলে তখন গ্রীষ্মের চাহিদা মেটাতে বাজার থেকে বিদ্যুৎ কিনতে হবে কেন?
রাজ্যের বিদ্যুৎ কর্তাদের অবশ্য যুক্তি, বিদ্যুৎ থাকলেও ঝুঁকি না নিয়ে গ্রীষ্মের সময়ে বাড়তি ব্যবস্থা করে রাখতে হয়। কারণ গ্রীষ্মে বা বর্ষার অতিরিক্ত বৃষ্টিতে কয়লার টানাটানি হলে কিংবা কোনও তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইউনিট বসে গিয়ে উৎপাদন ধাক্কা খেতে পারে ধরে নিয়েই তৈরি রাখা হয় আগাম পরিকল্পনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy