রোজই নতুন রেকর্ড গড়ছে পেটিএম-এর মতো ‘ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম’।
নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর থেকেই জনপ্রিয় হচ্ছিল মোবাইল অ্যাপ ভিত্তিক লেনদেন। ব্যাঙ্ক-এটিএম খুললেও সেগুলি থেকে নোট মিলছে চাহিদার তুলনায় কম। ফলে এই সব মোবাইল ওয়ালেট ব্যবহারেের প্রবণতা আরও বাড়ছে। অনেকটা স্লগ-ওভারে পিটিয়ে রান করার মতোই।
যেমন, বুধবার পেটিএম জানিয়েছিল, তাদের ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপে পা রাখা মানুষের সংখ্যা বেড়েছিল প্রায় ৪৩৫%! শনিবার সংস্থার দাবি, সে সংখ্যা বেড়েছে সাত গুণ বেশি। পাশাপাশি মোবাইলে পেটিএম অ্যাপ ‘ডাউনলোড’ বেড়েছে ৩০০%।
অনেকে ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে পেটিএম মারফত লেনদেন করেন। অনেকে আবার সরাসরি পেটিএম-ওয়ালেটে আলাদা করে টাকা ভরে রাখেন। সেখান থেকেই টাকা খরচ করেন। পেটিএম-এর মুখপাত্র জানান, গড়ে এর আগে যত টাকা ভরাতেন গ্রাহকেরা, তার চেয়ে শুক্রবার তা ছিল ১০ গুণ বেশি। আর এ দিন তা বেড়েছে আরও ৩০%। যাঁরা নিজেদের কার্ডের তথ্য পেটিএম অ্যাকাউন্টে ভরে রাখেন, তাঁদের সংখ্যাও ঊর্ধ্বমুখী। দু’দিনে ১০ লক্ষ নতুন কার্ডের তথ্য ভরা হয়েছে।
পেটিএম ওয়েবসাইট বা অ্যাপ দিয়ে ঘরে বসেই যেমন অনেকে লেনদেন করেন, তেমন কেউ কেউ কেনাকাটার পরে এর সাহায্যে টাকা মেটান। সব ধরনের লেনদেন ধরলে তা গড় হারের চেয়ে বেড়েছে তিনগুণ। আর টাকা মেটানো বেড়েছে পাঁচগুণ। গড়ে এত দিন যত টাকার লেনদেন হত, এখন তা ২০০% বেড়েছে।