জেট এয়ারওয়েজের পরিষেবা স্থগিত হওয়ায় সারা দেশেই বিমান সংস্থাটির উড়ানসূচি (স্লট) ফাঁকা হয়েছে। বিমান নিয়ন্ত্রক ডিজিসিএ চাইছে সেই ফাঁকা স্লট অন্য সংস্থাগুলিকে দিতে। কিন্তু এ ব্যাপারে আপত্তি রয়েছে জেটের কর্মীদের একাংশের।
গত কয়েক মাস ধরে একের পর এক বসেছে জেটের বিমান। বিভিন্ন বিমানবন্দরে সেই স্লটগুলি এখনও ফাঁকা। বিমান মন্ত্রক সূত্রের খবর, শুধু দিল্লি ও মুম্বই বিমানবন্দরেই ফাঁকা রয়েছে ৪৪০টি স্লট। পাশাপাশি ডিজিসিএ সোমবার জানিয়েছে, গত মার্চে বিমান যাত্রী বৃদ্ধির হার প্রায় মুখ থুবড়ে পড়েছে। হয়েছে ০.১৪%। ২০১৮ সালের মার্চের তুলনায় যাত্রী বেড়েছে মাত্র ১০ হাজার। জেটের উড়ান বাতিল হওয়া এবং টিকিটের দাম বৃদ্ধিই এর প্রধান কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। গত অর্থবর্ষেও যাত্রী বৃদ্ধির হার কমেছে। ২০১৮-১৯ সালে তা বেড়েছে ১৪.২৫%। তার আগের অর্থবর্ষে যা ছিল ১৮.৩%।
এই অবস্থায় ফাঁকা স্লটগুলি ভরতে চাইছে ডিজিসিএ। দিতে চাইছে অন্যান্য সংস্থাকে। কিন্তু জেটের একটি ইউনিয়নের আবেদন, নিলাম প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগে পর্যন্ত যেন এই ধরনের পদক্ষেপ করা না হয়। অন্যথায় আইনি পদক্ষেপ করা হবে বলেও হুমকি দিয়েছে তারা।
এ দিকে লাফিয়ে বাড়ছে জেটের ঋণ। এত দিন শোনা গিয়েছিল তার অঙ্ক ৮,৫০০ কোটি টাকা। এখন বলা হচ্ছে, আরও ৪,০০০ কোটি বিভিন্ন সংস্থা পাবে। তা ছাড়াও কর্মীদের বেতন এবং বাতিল করা উড়ানের টিকিটের টাকা ফেরত— সব মিলিয়ে অঙ্কটা ১৩,০০০ কোটির কাছাকাছি।
এ দিন আবার জেট কর্মীদের বিশেষ শর্তে ঋণ দিতে সওয়াল করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির ইউনিয়ন। অন্য দিকে এনডিএ-র শরিক শিবসেনার মুখপত্রে বলা হয়েছে, ২৩,০০০ কর্মী ও তাঁদের পরিবারকে বাঁচাতে কেন্দ্রের উচিত জেট অধিগ্রহণ করা। সংস্থার নন এগ্জ়িকিউটিভ ডিরেক্টরের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন নসিম জৈদি।
কোড শেয়ার: এমিরেটসের সঙ্গে কোড শেয়ারের কথা ঘোষণা করল স্পাইসজেট। কলকাতা-সহ ভারতের ন’টি শহরে পরিষেবা রয়েছে তাদের। কোড শেয়ারের ফলে ভারতের যে কোনও প্রান্ত থেকে স্পাইসের যাত্রী একই টিকিটে এমিরেটসের যে কোনও উড়ান ধরে বিদেশে যেতে পারবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy