কর্মী প্রভিডেন্ট ফান্ডের পেনশন বৃদ্ধি নিয়ে সিদ্ধান্ত হল না শনিবারও। দিল্লিতে পিএফের অছি পরিষদের বৈঠক বরং ফের উত্তপ্ত হল এ সংক্রান্ত তর্ক-বিতর্কে। তবে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব বলেছেন, সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে তিনি পরিষদের সেপ্টেম্বরের বৈঠকে রিপোর্ট করবেন। ফলে তখনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। কেন্দ্রেরই উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি কমিটি পেনশনের অঙ্ক এখনকার ১০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০০০ টাকা করার সুপারিশ করেছিল। অছি পরিষদের কর্মী প্রতিনিধিদের দাবি, তা কমপক্ষে ৩০০০ টাকা হওয়া উচিত। যা অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীরা পান।
গত বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসেছিল পিএফের এগ্জ়িকিউটিভ কমিটি। শুক্র, শনিবার বসে অছি পরিষদ। এআইইউটিইউসি-র প্রতিনিধি ও পরিষদের সদস্য দিলীপ ভট্টাচার্য বলেন, “পেনশন বৃদ্ধি নিয়ে ফের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি তৈরির প্রস্তাব দেন শ্রমমন্ত্রী। আমরা মানিনি। তেমন এক কমিটিই তো ২০০০ টাকা দিতে বলেছে। কিন্তু তা কার্যকর হচ্ছে না। আমরা অবশ্য আরও বেশি চাই।’’ তাঁর আশঙ্কা, বার বার কমিটি গড়ার অছিলায় বিষয়টিতে দেরি করা হচ্ছে। একাংশের মতে, বেশি পেনশন দিতে হলে কেন্দ্রকে তাদের দেয় অর্থের পরিমাণ বাড়াতে হবে। এখন তহবিলে মোট জমার ১.১৬% অনুদান দেয় তারা। তাই এত টালবাহানা।
এ দিকে, শেয়ার বাজারে পিএফ তহবিলের লগ্নি ১৫% থেকে বাড়িয়ে ২০% করার প্রস্তাবটি শেষ পর্যন্ত পেশ করেননি যাদব। কারণ সম্ভবত, এগ্জ়িকিউটিভ কমিটির বৈঠকে এ নিয়ে শ্রমিক প্রতিনিধিদের জোরালো প্রতিবাদ। দিলীপবাবুর দাবি, ‘‘ইটিএফের মাধ্যমে শেয়ারে ওই ১৫% লগ্নিতেই সব সময় মুনাফা হয়নি। উল্টে মূল টাকা কমে গিয়েছে। পিএফ নিয়ে ছেলেখেলা করতেদেব না।’’