প্রতীকী ছবি।
নভেম্বরের শেষের দিকে আর্জেন্টিনায় জি-২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির বৈঠক। সেখানে মুখোমুখি হতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং। বাণিজ্য যুদ্ধের উত্তাপ কমানোর জন্য সেখানে দু’পক্ষ উদ্যোগী হতে পারে বলে আশা কার্যত গোটা বিশ্বের শিল্প মহলের। এই পরিস্থিতিতে এক ধাপ এগিয়ে চিন জানাল, তারা আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা করতে তৈরি। কারণ, এই দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য গোটা বিশ্বের অর্থনীতির কাছে গুরুত্বপূর্ণ। উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগে আমেরিকাও জানিয়েছিল তারা চিনের সঙ্গে কথা বলতে তৈরি।
শুক্রবার ওয়াশিংটনে এক যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে চিনের কূটনীতিবিদ ইয়াং জেইচি জানান, মার্কিন-চিন বাণিজ্য পরিষদের হিসেব অনুযায়ী, দু’দেশের ব্যবসায়িক সম্পর্কের ফলে আমেরিকার প্রত্যেক পরিবার বছরে ৮৫০ ডলার সাশ্রয় করতে পারে। তৈরি হয় ৬০ লক্ষ কর্মসংস্থান। যা সমস্যা রয়েছে, তা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই মিটিয়ে ফেলা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, আমেরিকার বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও এবং প্রতিরক্ষা সচিব জেমস ম্যাটিসও সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। পম্পেও জানিয়েছেন, দু’দেশের সম্পর্কের মধ্যে কিছু মতানৈক্য রয়েছে ঠিকই, কিন্তু অনেক গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রেই এই দু’পক্ষের সমঝোতা বাকি বিশ্বের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ।
এরই মধ্যে আবার বাণিজ্য যুদ্ধের সমাধানে ‘নাক গলানো’ নিয়ে ওয়াল স্ট্রিটকে বিঁধেছেন হোয়াইট হাউসের পরামর্শদাতা পিটার নাভারো। তাঁর বক্তব্য, আমেরিকার শিল্প মহল অযাচিত ভাবে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করছে। শুধু তা-ই নয়, এর মাধ্যমে আমেরিকা ও চিনের মধ্যে আলোচনায় নিজেদের প্রেসিডেন্টের অবস্থানকেই দুর্বল করছে তারা। তিনি বলেন, ‘‘যদি কোনও চুক্তি হয়, তা হবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শর্ত মেনেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy