চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার (৮.২%) সমস্ত সংস্থার প্রত্যাশা ছাপিয়ে গিয়েছে। বছরের প্রথমার্ধে (এপ্রিল-সেপ্টেম্বর) তা দাঁড়িয়েছে ৮%। এর উপর ভিত্তি করেই আজ গোটা অর্থবর্ষে বৃদ্ধির পূর্বাভাস বাড়িয়ে ৭% করল মূল্যায়ন সংস্থা ক্রিসিল। আগের পূর্বাভাস ৬.৫% ছিল। তবে কেন্দ্রের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা ভি অনন্ত নাগেশ্বরন মনে করছেন, এই হার ৭% ছাপিয়ে যাবে।
ক্রিসিলের মুখ্য অর্থনীতিবিদ ধর্মকৃতী জোশীর বক্তব্য, খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির হার কমার ফলে সাধারণ মানুষের হাতে উদ্বৃত্ত অর্থ ছিল। তাতে পছন্দের কেনাকাটাই এই বৃদ্ধির হারকে ঠেলে তুলেছে। বেড়েছে উৎপাদন এবং পরিষেবা ক্ষেত্রের কর্মকাণ্ডও। তবে একই সঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, আমেরিকার চড়া আমদানি শুল্কের বিরূপ প্রভাব বছরের দ্বিতীয়ার্ধে পড়বে। অক্টোবর থেকে আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত বৃদ্ধির হার ৬.১ শতাংশে নেমে আসতে পারে। ফলে সব মিলিয়ে সারা বছরে তা দাঁড়াতে পারে ৭%।
নাগেশ্বরনের অবশ্য আশা, বৃদ্ধি ৭ শতাংশও ছাপিয়ে যাবে। একই সঙ্গে মোট জাতীয় উৎপাদনও (জিডিপি) পার করবে ৪ লক্ষ কোটি ডলার।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)