চলতি বছরের জানুয়ারিতে কমেছে শাক-সব্জি ও খাদ্যদ্রব্যের দাম। পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির তথ্য প্রকাশ করে এ বার এমনটাই দাবি করল কেন্দ্র। জানুয়ারিতে পাইকারি মূল্য সূচক (হোলসেল প্রাইস ইনডেক্স বা ডব্লুপিআই) নেমে আসে ২.৩১ শতাংশে। ডিসেম্বরে এটি ছিল ২.৩৭ শতাংশ। শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি এই তথ্য প্রকাশ করেছে জাতীয় পরিসংখ্যান দফতর।
পাইকারি মূল্য সূচকের উপর ভিত্তি করেই পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির হার গণনা করে সরকার। গত বছরের জানুয়ারিতে পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির অঙ্ক ছিল ০.৩৩ শতাংশ। বছর ঘুরে পাইকারি বাজার যে অনেকটাই চড়া হয়েছে, তা বলাই বাহুল্য। বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি খুচরো বাজারের ভোক্তা মূল্য সূচকের (কনজ়্যুমার প্রাইস ইনডেক্স বা সিপিআই) তথ্য প্রকাশ করে নরেন্দ্র মোদী সরকার। সেখানে বলা হয়েছে, গত পাঁচ মাসের নিরিখে জানুয়ারিতে বেশ কিছুটা সস্তা হয়েছে খুচরো বাজার। গত মাসে সিপিআই নেমেছিল ৪.৩১ শতাংশে।
সর্বশেষ পাইকারি মূল্য সূচক অনুযায়ী, এ বছরের জানুয়ারিতে পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৫.৮৮ শতাংশ। গত বছরের ডিসেম্বরে এই সূচক ৮.৪৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছিল। সরকারের দাবি, এক মাসের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে সব্জির দাম। ডিসেম্বরে সব্জির ক্ষেত্রে মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ২৮.৬৫ শতাংশ। জানুয়ারিতেই সেটা নেমে আসে ৮.৩৫ শতাংশে।
এ ছাড়াও পাইকারি বাজারে কমেছে ডিম, মাংস এবং মাছের দাম। ডিসেম্বরে এই তিন শ্রেণির খাবারের মুদ্রাস্ফীতির হার ৫.৪৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছিল। জানুয়ারিতে কমে সেটা হয়েছে ৩.৫৬ শতাংশ। সব্জির মধ্যে পাইকারি বাজারে টম্যাটোর দাম কমেছে ১৮.৯ শতাংশ। তবে জানুয়ারিতে ঊর্ধ্বমুখীই রয়েছে আলু এবং পিঁয়াজের দর। এই দুই সব্জির ক্ষেত্রে মুদ্রাস্ফীতির হার ৭৪.২৮ এবং ২৮.৩৩ শতাংশ বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।
অন্যদিকে ডিসেম্বরের তুলনায় জানুয়ারিতে আরও কমেছে জ্বালানি এবং শক্তি শ্রেণিভুক্ত বিষয়গুলির খরচ। ডিসেম্বরে এতে ৩.৭৯ শতাংশ কমেছিল মুদ্রাস্ফীতির হার। জানুয়ারিতে সূচক আরও নেমে চলে এসেছে ২.৭৮ শতাংশে। শিল্প ক্ষেত্রের উৎপাদিত সামগ্রীর ক্ষেত্রে মুদ্রাস্ফীতির হার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে এতে সূচক দাঁড়িয়েছে ২.১৪ ও ২.৫১ শতাংশ।