শেয়ার বাজারে অব্যাহত অস্থিরতা। কিন্তু তা সত্ত্বেও মিউচুয়াল ফান্ডে বাড়ছে বিনিয়োগ। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ইকুইটি মিউচুয়াল ফান্ডে লগ্নির অঙ্ক ছিল প্রায় ৪০ হাজার (৩৯,৬৮৮) কোটি টাকা। ছোট ও মাঝারি পুঁজির মিউচুয়াল ফান্ডগুলি বিনিয়োগকারীদের বেশি টেনেছে বলে জানা গিয়েছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে অবশ্য এই তহবিলে ঢোকে আরও বেশি টাকা। সেই অঙ্ক ছিল ৪১,১৫৬ কোটি। অর্থাৎ জানুয়ারিতে মিউচুয়াল ফান্ডে নিট লগ্নির পরিমাণ কমেছে ৩.৫ শতাংশ। বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি এই ইস্যুতে তথ্য দিয়েছে ‘অ্যাসোসিয়েশন অফ মিউচুয়াল ফান্ডস ইন ইন্ডিয়া’ বা অ্যামফি।
মিউচুয়াল ফান্ডের নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাটি জানিয়েছে, সেক্টরাল বা থিম্যাটিক ক্যাটেগরিতে লগ্নির দিকেই বিনিয়োগকারীরা বেশি আকৃষ্ট হয়েছেন। ডিসেম্বরে এই শ্রেণির মিউচুয়াল ফান্ডে লগ্নির পরিমাণ ছিল ১৫,৩৩১ কোটি টাকা। জানুয়ারিতে সেটা কমে ৯,০১৬ কোটিতে এসে দাঁড়িয়েছে।
মিউচুয়াল ফান্ডের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ছোট এবং মাঝারি পুঁজির তহবিলগুলির প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধির নেপথ্যে রয়েছে একাধিক কারণ। বিশেষজ্ঞদের দাবি, লগ্নিকারীরা এগুলিকে কম ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছেন। এ ছাড়া এই তহবিল থেকে ভাল টাকা রিটার্ন পাচ্ছেন তাঁরা। ফলে ছোট ও মাঝারি পুঁজির তহবিলগুলির জনপ্রিয়তা বাড়ছে।
অ্যামফির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বৃহৎ পুঁজির মিউচুয়াল ফান্ডগুলিতে ডিসেম্বরে লগ্নির অঙ্ক ছিল ২০১০ কোটি টাকা। এ বছরের জানুয়ারিতে সেটাই বেড়ে ৩,০৬৩ কোটি হয়েছে। ইক্যুইটি ছাড়া ডেট ফান্ডগুলিতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অবশ্য তেমন কোনও হেরফের হয়নি। ডিসেম্বরে ওই তহবিলগুলিতে ১.২৭ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেন লগ্নিকারীরা। জানুয়ারিতে সেটাই বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১.২৮ লক্ষ কোটি টাকা। মিউচুয়াল ফান্ডের মাধ্যমে সোনায় (গোল্ড এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড) লগ্নি হয়েছে ৩,৭৫১ কোটি টাকা।
এ বছরের ৩১ জানুয়ারি মিউচুয়াল ফান্ডে সামগ্রিক ভাবে বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৭.২৫ লক্ষ কোটি টাকা। ৩১ ডিসেম্বরের ৬৬.৯৩ লক্ষ কোটি টাকার চেয়ে যা কিছুটা বেশি। ফেব্রুয়ারিতে এই ধারা বজায় থাকবে বলে মনে করছেন আর্থিক বিশ্লেষকেরা।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: মিউচুয়াল ফান্ডে লগ্নি বাজারগত ঝুঁকি সাপেক্ষ। আর তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই এতে বিনিয়োগ করুন। মিউচুয়াল ফান্ডে আর্থিক ভাবে লোকসান হলে আনন্দবাজার অনলাইন কর্তৃপক্ষ কোনও ভাবেই দায়ী নয়।)