সকালে ডেটা অন করে দেখলেন অচেনা ওয়টস্যাপ গ্রুপে আপনাকে যুক্ত করা হয়েছে। মিলছে শেয়ার বাজারের লেনদেন সংক্রান্ত পরামর্শ। আবার সামাজিক মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে ফিনান্সিয়াল ইনফ্লুয়েন্সারদের বিনিয়োগ পরামর্শও এখন অপরিচিত ঘটনা নয়। এই সমস্ত অনুমোদনহীন আর্থিক পরামর্শের দৌরাত্ম্য বন্ধের উদ্দেশ্যে এ বার কড়া পদক্ষেপ করতে চায় বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি। ওয়টস্যাপ, টেলিগ্রামের মতো সামাজিক মাধ্যমে এই জাতীয় পরামর্শ কিংবা গ্রুপ যাতে বন্ধ করা যায়, তার জন্য প্রয়োজনীয় ক্ষমতা চেয়ে কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানিয়েছে তারা। চাইছে তদন্তের প্রয়োজনে ‘কল অ্যাক্সেস’ করার ক্ষমতাও।
২০২২ সালেও সামাজিক মাধ্যমের উপরে নিয়ন্ত্রণ চেয়ে কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানিয়েছিল সেবি। তবে সরকার কোনও জবাব দেয়নি। সাড়া দেয়নি সামাজিক মাধ্যমগুলিও। তথ্যপ্রযুক্তি আইনে এখন আয়কর দফতর, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) মতো কয়েকটি সরকারি সংস্থার হাতে এই ধরনের ক্ষমতা রয়েছে। সেবি সেই তালিকায় নেই। এ বার সেই ক্ষমতা চাইছে তারাও।
সংশ্লিষ্ট মহল জানাচ্ছে, সংস্থার ভিতরের খবর জেনে বাজারে শেয়ার লেনদেনের বিরুদ্ধে এখন আরও কড়া হচ্ছে সেবি। পাশাপাশি, তাদের কাছে আসছে অসাধু উদ্দেশ্যে অনুমতিহীন সংস্থার শেয়ার সংক্রান্ত পরামর্শের অভিযোগও। যেখানে পুঁজি হারিয়েছেন বহু লগ্নিকারী। সেবি মনে করে এই সমস্ত কার্যকলাপ বাজারের অস্থিরতা বাড়িয়ে তুলছে। সে কারণে সামাজিক মাধ্যমে এই ধরনের কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণের এবং প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বার্তা মুছে দেওয়ার কিংবা গ্রুপ বন্ধ করে দেওয়ার ক্ষমতা চেয়ে গত সপ্তাহে সরকারকে চিঠি দিয়েছে তারা।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)