বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের জন্য সুখবর। ২০২৪-’২৫ আর্থিক বছরের এমপ্লোয়িজ় প্রভিডেন্ট ফান্ডে (ইপিএফ) সুদের হার অপরিবর্তিত রাখল কেন্দ্র। ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চিত ওই তহবিলের অর্থের উপর বার্ষিক ৮.২৫ শতাংশ হারে সুদ পাবেন তাঁরা। এতে এমপ্লোয়িজ় প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজ়েশন বা ইপিএফওর সাত কোটির বেশি গ্রাহক উপকৃত হবেন বলে জানা গিয়েছে।
চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডে সুদের হার ৮.২৫ শতাংশ বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রক। এর পর প্রথামাফিক তা অনুমোদনের জন্য অর্থ মন্ত্রকে পাঠায় ইপিএফও। সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রক তাতে সবুজ সংকেত দেয় বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই।
সূত্রের খবর, গত ২২ মে, বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত একটি চিঠি ইপিএফওতে পাঠায় কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রক। সেখানেই প্রভিডেন্ট ফান্ডে সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্তে সিলমোহরের বিষয়টির উল্লেখ রয়েছে। ফলে এই ইস্যুতে ইপিএফও খুব দ্রুত বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও সরকারি ভাবে তা নিয়ে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
ইপিএফওর বিজ্ঞপ্তি জারি হলে সাত কোটির বেশি প্রভিডেন্ট ফান্ডের গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে ২০২৪-’২৫ আর্থিক বছরের সুদের টাকা জমা পড়বে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি তহবিল নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাটির ট্রাস্টি বোর্ডের ২৩৭ তম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য। সেখানেই সুদের হার বদল না করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন:
২০২২-’২৩ আর্থিক বছরে এমপ্লোয়িজ় প্রভিডেন্ট ফান্ডের সুদের হার ছিল ৮.১৫ শতাংশ। কিন্তু, ২০২৩-’২৪ আর্থিক বছরে তা বাড়িয়ে ৮.২৫ শতাংশ করে সরকার। ফলে এ বারও সুদের হার বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদী ছিলেন বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা। যদিও বাস্তবে তা হয়নি। তবে সুদের হার না কমায় স্বস্তি পেয়েছেন তাঁরা।
২০২১-’২২ অর্থবর্ষে ইপিএফের সুদের হার ছিল চার দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন। ওই আর্থিক বছরে ৮.১ শতাংশ হারে সুদ দিয়েছিল কেন্দ্র। এর আগে ১৯৭৭-’৭৮ আর্থিক বছরে সুদের হার ৮ শতাংশে নেমে গিয়েছিল। তবে ২০২০-’২১ আর্থিক বছরে সেটা বেড়ে ৮.৫ শতাংশে গিয়ে দাঁড়ায়। পরের আর্থিক বছরে ফের তাতে পতন দেখা গিয়েছিল।