ইউনিফায়েড পেমেন্টস ইন্টারফেস বা ইউপিআই লেনদেনে বসতে পারে অতিরিক্ত চার্জ। এতে এ বার মার্চেন্ট ডিসকাউন্ট রেট (এমডিআর) চালু করার বিষয়টি খতিয়ে দেখছে কেন্দ্র। সূত্রের খবর, বেশি টাকার ইউপিআই লেনদেনে ওই চার্জ দিতে হবে গ্রাহককে। যদিও এ ব্যাপারে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অর্থ মন্ত্রকের এক পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, ইউপিআইয়ে একটি নির্দিষ্ট সীমার উপর এমডিআর চার্জ বসানো হবে কি না, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা রয়েছে। সেই কারণে তাড়াহুড়ো করে কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না। তবে আর্থিক লোকসান ঠেকাতে চার্জ বসানো যে খুবই প্রয়োজন, তা একরকম স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন:
গত কয়েক বছর ধরেই ভারতের ডিজিটাল অর্থনীতিতে ঊর্ধ্বগতি রয়েছে। ইউপিআই নিয়ন্ত্রণকারী ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া বা এনপিসিআইয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত ইউপিআইয়ে মাসে ২০ লক্ষ কোটি টাকার বেশি মূল্যের ১,৪০০ কোটি লেনদেন হয়েছে। এই অভূতপূর্ব বৃদ্ধি পরিষেবা প্রদানকারীদের উপর অতিরিক্ত আর্থিক চাপ সৃষ্টি করছে।
সূত্রের খবর, সেই কারণেই এ বার উচ্চ মূল্যের ইউপিআই লেনদেনে এমডিআর চার্জ বসানোর বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে সরকার। কেন্দ্রের যুক্তি, এ ব্যাপারে গ্রাহক, ব্যবসায়ী, ব্যাঙ্ক এবং ফিনটেক সংস্থাগুলির স্বার্থ বজায় রেখে চূ়ড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সেই কারণে এমডিআর চার্জ বসাতে দেরি হচ্ছে।
ডিজিটাল লেনদেন থেকে অর্থ রোজগারের জন্য ব্যাঙ্ক এবং পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলি ব্যবসায়ীদের থেকে একটি ফি নিয়ে থাকে। একেই বলে মার্চেন্ট ডিসকাউন্ট রেট বা এমডিআর। বর্তমানে ইউপিআই এবং রুপে লেনদেন এই ধরনের কোনও চার্জ দিতে হয় না ব্যবসায়ীদের। ডিজিটাল লেনদেনকে আরও জনপ্রিয় করতে সেই ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার। কিন্তু, ইউপিআইয়ের পরিমাণ দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় এ বার এমডিআর বসানোর পরিকল্পনা করছে কেন্দ্র।
আরও পড়ুন:
বর্তমানে ক্রেডিট কার্ডে লেনদেনের ক্ষেত্রে দুই থেকে তিন শতাংশ পর্যন্ত মার্চেন্ট ডিসকাউন্ট রেট দিতে হয়। ব্যাঙ্ক ও ফিনটেক সংস্থাগুলি ইউপিআইয়ের ক্ষেত্রেও একই ধরনের ব্যবস্থা চাইছে। এই ডিজিটাল লেনদেনে শূন্য-এমডিআর নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তারা। ডিজিটাল পেমেন্ট পরিকাঠামোকে বজায় রাখতে এবং সম্প্রসারণের খরচ তুলতে অবিলম্বে ওই চার্জ চালু করার পক্ষে সওয়াল করেছে ব্যাঙ্ক ও ফিনটেক সংস্থা।