অস্থির বিশ্ব বাজার। অনিশ্চয়তার ঢেউ আছড়ে পড়ছে দেশেও। ফলে ফের সুরক্ষিত লগ্নি হিসেবে সোনাকে আঁকড়ে ধরছেন অনেকে। বেড়ে যাওয়া চাহিদা ঠেলে তুলছে দামকে। তাই স্বর্ণ শিল্প মহলের প্রশ্ন, ধনতেরসে ব্যবসা ভাল হবে তো? গয়নার দোকানে উপচে পড়া ভিড়ের পুরনো ছবিটা দেখতে হা-পিত্যেশ করে থাকতে হবে কি? সোনার দাম ছোট দোকানগুলিতে ভিড় কমাবে কি না, সেই অনিশ্চয়তাও কাটছে না। তবে আশায় ছোট-বড় ব্যবসায়ীরা। বলছেন, ইতিমধ্যেই দোকানে ক্রেতার আনাগোনা বেড়েছে। যা শুক্র ও শনিবার ধনতেরসের বিক্রিবাটা ভাল হওয়ার ইঙ্গিত। বুধবার কলকাতায় ১০ গ্রাম পাকা সোনার (২৪
ক্যারাট) বাট ছিল ৬১,১০০ টাকা।
ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল (ডব্লিউজিসি) জানিয়েছে, গত জুলাই-সেপ্টেম্বরে ভারতে সোনার দাম কিছুটা নেমেছিল। সেই সুযোগে বিক্রি বাড়ে ১০%। লগ্নি সংস্থা উইন্ডমিল ক্যাপিটালের সমীক্ষায় প্রকাশ, ২০ বছর ধরে এ দেশে বছরে গড়ে ১১% রিটার্ন দিয়েছে হলুদ ধাতু। ফলে বিক্রি বাড়বে না কেন! ইজ়রায়েল-হামাস সংঘাতের আবহে চলতি উৎসবের মরসুমে চাহিদা আরও বাড়তে পারে।
গয়না ব্যবসায়ীরা অবশ্য বলছেন, অক্টোবরের শুরুতে পশ্চিম এশিয়া অশান্ত হওয়ার পরে সোনা যেখানে পৌঁছেছিল, সেখান থেকে নেমেছে। স্বর্ণ শিল্প বাঁচাও কমিটির কার্যকরী সভাপতি সমর দে-র মতে, দাম কিছুটা কমার কারণেই এই ধনতেরসে বিক্রি ১৫%-২০% বৃদ্ধির আশা করছি। সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডসের কর্ণধার শুভঙ্কর সেন বলছেন, ‘‘ক্রেতাদের আগ্রহ বেড়েছে। ধনতেরস উপলক্ষে অনেকে বিয়ের কেনাকাটা সারছেন। পুরুষদের মধ্যে চেন, ব্রেসলেটের চাহিদা দেখা যাচ্ছে। বিক্রি হচ্ছে হিরে, প্ল্যাটিনামের গয়নাও।’’ তাঁদের আশা, টাকার অঙ্কে বিক্রি ১০%-১২% বাড়বে। পি সি চন্দ্র জুয়েলার্সের উদয় চন্দ্রের আবার দাবি, শুধু শহর নয়, জেলার সোনার দোকানেও বিক্রি বাড়ছে। ধনতেরসে ব্যবসার ভাল হওয়ার ইঙ্গিত এটা।
পাইকারি বাজারে সোনার গয়না বিক্রেতা চিত্তরঞ্জন পাঁজা এবং বঙ্গীয় স্বর্ণশিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক টগর পোদ্দারের কথায়, ‘‘দাম আরও কমতে পারে। ছোট দোকানগুলিতে ভাল ব্যবসার ইঙ্গিত মিলেছে। গয়না তৈরির ব্যস্ততা হাসি ফুটিয়েছে কারিগরদের মুখেও।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)