Advertisement
E-Paper

অধরা থাকবে না ধার, আশ্বাস শিল্পকে

অর্থ মন্ত্রকও সেটাই নিশ্চিত করতে চাইছে। ব্যাঙ্কিং পরিষেবা দফতরের এক কর্তার যুক্তি, ‘‘ঋণের জোগান অব্যাহত রাখতে ছোট-মাঝারি শিল্পের জন্য ১৫ দিনে ঋণ মঞ্জুর করতে বলা হয়েছে।

প্রেমাংশু চৌধুরী

শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০১৮ ০২:৩২
অরুণ জেটলি।

অরুণ জেটলি।

নীরব কেলেঙ্কারি সামনে আসার পরে ঋণ দেওয়ার আগে একশো বার ভাবছে ব্যাঙ্ক। ফলে ধার পেতে নাভিশ্বাস উঠছে শিল্পের। এই অভিযোগের মুখে ব্যাঙ্কের কড়াকড়িতে যাতে শিল্পের অসুবিধা না হয়, এখন দ্রুত তা নিশ্চিত করতে চাইছে অর্থ মন্ত্রক।

ব্যাঙ্ক পরিষেবা দফতরের শীর্ষ কর্তাদের যুক্তি, মোদী সরকার এই আর্থিক বছরেই ২০টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ৮৮ হাজার কোটি টাকা পুঁজির জোগাচ্ছে। মূল উদ্দেশ্য, শিল্পমহলের জন্য ঋণের জোগান অব্যাহত রাখা।

পিএনবি-তে প্রতারণা প্রকাশ্যে আসার পরে অর্থ মন্ত্রক সমস্ত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ককে ফাঁকফোকর ঢাকার নির্দেশ দিয়েছে। ফলে শিল্পের জন্য বড় অঙ্কের ঋণ মঞ্জুরের সিদ্ধান্ত নিতে ব্যাঙ্ক কর্তারা দোনামনা করছেন। তাই শিল্পমহলে আশঙ্কা ছড়িয়েছে। এর উপর আবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ‘লেটার অব আন্ডারটেকিং’-এ কড়া বিধিনিষেধ জারি করায় আরও ক্ষোভ বেড়েছে তাদের।

গতকালই সিআইআই প্রেসিডেন্ট শোভনা কামিনেনি বলেছিলেন, এতে ব্যবসায় ধাক্কা লাগবে। আজ ফিকি-র প্রেসিডেন্ট রাশেস শাহের সওয়াল, ‘‘ছোট-মাঝারি শিল্পে ঋণ পাওয়া নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। সরকার ও রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে নিশ্চিত করতে হবে যাতে সৎ ব্যবসায়ী, উদ্যোগপতিরা ঋণ থেকে বঞ্চিত না হন।’’

অর্থ মন্ত্রকও সেটাই নিশ্চিত করতে চাইছে। ব্যাঙ্কিং পরিষেবা দফতরের এক কর্তার যুক্তি, ‘‘ঋণের জোগান অব্যাহত রাখতে ছোট-মাঝারি শিল্পের জন্য ১৫ দিনে ঋণ মঞ্জুর করতে বলা হয়েছে। তার আগে আবেদনকারীর আর্থিক অবস্থা যাচাই করার জন্য আর্থিক-প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া যায়। এমনকী জিএসটি রিটার্ন থেকেও ব্যবসার অবস্থা বোঝা সম্ভব। পাশাপাশি ২৫০ কোটি টাকার বেশি ঋণ মঞ্জুরের পরে তার উপর নিয়মিত নজরদারি করতে বলেছি আমরা।’’

স্টেট ব্যাঙ্কের ডেপুটি এমডি এম এস শাস্ত্রীর অবশ্য দাবি, ‘‘কড়াকড়ির ফলে ঋণের জোগানে লাগাম পড়ছে না। যাঁরা সৎ ভাবে ঋণ নিয়ে শোধ করছেন, শুধু তাঁরাই থাকবেন।’’

প্রতিশ্রুতি

•ঋণের জোগান অব্যাহত রাখতেই ২০টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ককে ৮৮ হাজার কোটির শেয়ার মূলধন

•ছোট-মাঝারি শিল্পের জন্য ১৫ দিনে ঋণ মঞ্জুর

•ঋণ মঞ্জুরের আগে আবেদনকারীর ব্যবসার অবস্থা যাচাইয়ে প্রযুক্তির সাহায্য

•জিএসটি রিটার্ন ফাইল থেকে ব্যবসার হাল বোঝার চেষ্টা

ব্যাঙ্ক অব মহারাষ্ট্রের এগ্‌জিকিউটিভ ডিরেক্টর আর কে গুপ্ত বলেন, ‘‘এলওইউ মূলত এ দেশেই চালু ছিল। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে লেটার অব ক্রেডিট, ব্যাঙ্ক গ্যারান্টিতে কাজ হয়।’’ তবে এতে ব্যবসার খরচ বাড়তে পারে বলে তা মানছেন তাঁরা।

রফতানিকারীদের সংগঠন ফিও-র প্রেসিডেন্ট গণেশ কুমার গুপ্তেরও মত, ‘‘এলওইউয়ের বদলে লেটার অব ক্রেডিট বা ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি ব্যবহার করলে খরচ ০.৫%-১% বাড়বে।’’

Arun Jaitley Finance Ministry industrial crisis Loan
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy