Advertisement
E-Paper

চিনির আমদানি শুল্ক বেড়ে ৪০%

আখচাষিদের স্বস্তি দিতে চিনির আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪০ শতাংশ করল কেন্দ্র। চিনি আমদানি ঠেকিয়ে দেশীয় শিল্পের বাজার বাড়াতেই এই সিদ্ধান্ত। দেশে তৈরি চিনির চাহিদা বাড়লে নগদের অভাবে কার্যত ধুঁকতে থাকা চিনিকলগুলিও হাঁপ ছেড়ে বাঁচবে এবং চিনি উদ্বৃত্ত থাকার সমস্যাও মিটবে বলে মনে করছে কেন্দ্র। সে ক্ষেত্রে আখচাষিদের বকেয়া প্রাপ্য ২১ হাজার কোটি টাকা মিটিয়ে দেওয়াও চিনি শিল্পের পক্ষে সহজ হবে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০১৫ ০১:১৪

আখচাষিদের স্বস্তি দিতে চিনির আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪০ শতাংশ করল কেন্দ্র। চিনি আমদানি ঠেকিয়ে দেশীয় শিল্পের বাজার বাড়াতেই এই সিদ্ধান্ত। দেশে তৈরি চিনির চাহিদা বাড়লে নগদের অভাবে কার্যত ধুঁকতে থাকা চিনিকলগুলিও হাঁপ ছেড়ে বাঁচবে এবং চিনি উদ্বৃত্ত থাকার সমস্যাও মিটবে বলে মনে করছে কেন্দ্র। সে ক্ষেত্রে আখচাষিদের বকেয়া প্রাপ্য ২১ হাজার কোটি টাকা মিটিয়ে দেওয়াও চিনি শিল্পের পক্ষে সহজ হবে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরোহিত্যে এক বৈঠকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা বুধবার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর জেরে সাধারণ আমদানি লাইসেন্স-এর আওতায় আমদানি বন্ধ হবে বলে এক সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। তার কারণ, শুল্ক বসায় ওই আমদানির খরচ এক লাফে অনেকটা বেড়ে যাবে। বিশ্ব বাজারে চিনির দাম এই মুহূর্তে পড়তির দিকে। তা আরও কিছুটা কমে গেলেও চিনি আমদানি আর লাভজনক হবে না বলে মনে করছে কেন্দ্র। ফলে দেশে তৈরি চিনির বাজার বাড়বে।

পাশাপাশি, আরও কয়েকটি ক্ষেত্রে দেশের চিনি শিল্পকে উৎসাহ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র, যার মধ্যে রয়েছে:

আগামী মরসুমের জন্য চিনি উৎপাদন প্রক্রিয়ায় তৈরি গুড় থেকে উৎপন্ন ইথানলে উৎপাদন শুল্ক তুলে নেওয়া। তবে ইথানল পেট্রোলের সঙ্গে মিশিয়ে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হলে (ইথানল ব্লেন্ডিং) তাতেই এই সুবিধা মিলবে, জ্বালানি তৈরিতে ইথানলের ব্যবহারও বাড়বে। চিনির উদ্বৃত্ত কমাতে এটাও সাহায্য করবে। তা ছাড়া, প্রতি লিটার ইথানলে বাড়তি ৫ টাকা চিনিকলগুলির হাতে আসবে।

রফতানিকারীদের জন্য প্রক্রিয়া না-করা চিনি বিনা শুল্কে আমদানির অনুমতি বাতিল করল কেন্দ্র। উদ্দেশ্য ওই আমদানি করা চিনি থেকে প্রক্রিয়া করা চিনির কিছুটা বেআইনি পথে দেশীয় বাজারে বিক্রি ঠেকানো।

একই লক্ষ্যে প্রক্রিয়া করা চিনি রফতানি করার সময়সীমাও কমিয়ে ৬ মাস করা হল।

ভারতে এই নিয়ে পরপর ৪ বছর চাহিদা কম, যে কারণে দামও পড়তির দিকে। ২০১৪-’১৫ সালে উৎপাদন ২ কোটি ৭০ লক্ষ টন ছাড়ানোর কথা। অথচ দেশে চাহিদা ২ কোটি ৪৮ লক্ষ টন। এর জেরে চিনিকলগুলি বিক্রি খাতে হাতে পাচ্ছে কেজি প্রতি ২৩-২৭ টাকা। আর, উৎপান খরচ কেজিতে ২৯-৩৩ টাকা।

চিনিকলগুলির সংগঠন ইন্ডিয়ান সুগার মিল্স অ্যাসোসিয়েশন (ইসমা) অবশ্য জানিয়েছে, কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়বে দীর্ঘ মেয়াদে, এখনই নয়। ফলে আপাতত নগদের অভাব মেটাতে এ বছরে ১০ শতাংশ চিনি কিনে নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছে ইসমা।

sugar industry increased import duty ethanol liquidity ISMA
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy