E-Paper

‘এক দেশ এক ভোট’ নিয়ে বিতর্ক বৈঠকে

তিনি বৈঠকে বলেন, ওই আইন আনলে লোকসভা ও বিধানসভা ভোট এক সঙ্গে হবে। সরকারের খরচ কম হবে। উন্নয়নের কাজ গতি পাবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ১০:১৭
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

‘এক দেশ এক ভোট সংবিধান সংশোধনী বিল’ পাশ হতে গেলে সংসদে সরকারের দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন প্রয়োজন। অথচ দু’কক্ষে সরকারের সেই সংখ্যক সাংসদ নেই। ফলে ওই বিল নিয়ে আলোচনার কী প্রয়োজন রয়েছে বলে প্রশ্ন উঠল এক দেশ এক ভোট নিয়ে গঠিত যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠকে।

আজ ওই বৈঠকে এক দেশ এক ভোটের পক্ষে সওয়াল করেন আইন কমিশনের চেয়ারম্যান দীনেশ মাহেশ্বরী। সূত্রের খবর, তিনি বৈঠকে বলেন, ওই আইন আনলে লোকসভা ও বিধানসভা ভোট এক সঙ্গে হবে। সরকারের খরচ কম হবে। উন্নয়নের কাজ গতি পাবে। সম্প্রতি আইন কমিশন এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য জমা দিয়েছিল কমিটির কাছে। সেই রিপোর্ট কী ভাবে সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হয়ে গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কংগ্রেসের এক মহিলা সাংসদ। জবাবে কমিটি জানায়, তাদের পক্ষ থেকে কোনও কিছু ফাঁস করা হয়নি।

আজ নিজের বক্তব্যে আইন কমিশন জানায়, এক জন ভোটারের ভোট দেওয়ার অধিকার বিধিবদ্ধ অধিকার হলেও কত দিন অন্তর ভোট হবে সে বিষয়ে এক জন ভোটারের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনও অধিকার নেই। পাল্টা জবাবে তৃণমূলের এক সাংসদ বলেন, সংবিধানে গণতন্ত্রের বিষয়ে কোনও ব্যাখ্যা করা নেই। কিন্তু সংবিধানের মূল কথাটিই হল গণতন্ত্র। একটি নির্বাচনের মূলে রয়েছেন ভোটারেরা। তাঁদের সরিয়ে নিলে ভোট ব্যবস্থাই অর্থহীন হয়ে পড়ে।

কমিশন জানায়, বিল পাশ করাতে রাজ্যের সহমতের প্রয়োজন হবে না। পাল্টা তৃণমূলের সাংসদের প্রশ্ন, কিন্তু বিল পাশ করাতে তো সংসদের দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন প্রয়োজন রয়েছে। যা স্বীকার করে নেয় কমিশন। ওই সাংসদের দাবি, সরকারের কাছে ওই সংখ্যক সাংসদ নেই। তা হলে এই প্রক্রিয়ার কী প্রয়োজন রয়েছে? কারণ, আগামী ২০২৯ সালের লোকসভা নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত লোকসভার সদস্য সংখ্যার অন্তত কোনওপরিবর্তন হচ্ছে না।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Delhi

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy