নিলাম হয়ে যাওয়া ৩৩টি কয়লা খনির মধ্যে ৯টির জন্য আসা সর্বোচ্চ দর খতিয়ে দেখছে কেন্দ্র। কয়লা সচিব অনিল স্বরূপের দাবি, একই ধরনের অন্যান্য খনির তুলনায় ওইগুলিতে কয়লার দর এত কম জমা পড়ল কেন, মূলত সেই বিষয়টিই খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত চলতি সপ্তাহের মধ্যে ঘোষণা করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বণ্টন বাতিল হওয়া ২০৪টি খনির মধ্যে প্রথম দু’দফায় ৩৩টিকে ইতিমধ্যেই নিলামে তুলেছে কেন্দ্র। দাম উঠেছে দু’লক্ষ কোটি টাকারও বেশি। কিন্তু তা সত্ত্বেও বারবার প্রশ্ন উঠেছে ন’টি খনির জন্য জমা পড়া সর্বোচ্চ দর নিয়ে। যার মধ্যে আছে জিন্দল স্টিল অ্যান্ড পাওয়ার এবং বালকোর ‘জেতা’ খনিও। অনেকে অভিযোগ তুলেছেন, আসলে ওই খনিগুলির জন্য দরপত্র পেশের সময় নিজেদের মধ্যে যোগসাজশ করেই কম দাম হেঁকেছে সংস্থাগুলি। উল্লেখ্য, যেখানে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য নেওয়া অন্য খনিতে প্রতি টন কয়লার ১,১০০ টাকা পর্যন্ত দর উঠেছে, সেখানে ১০৮ টাকা দাম হেঁকেই দু’টি কয়লা ব্লকে সর্বোচ্চ দরদাতা হয়েছে জিন্দল স্টিল। দামে এ ধরনের চোখে পড়ার মতো ফারাক বাকি ৭টি খনির ক্ষেত্রেও।
যোগসাজশের এই অভিযোগ নিয়ে এ দিন অবশ্য কোনও মন্তব্য করেননি স্বরূপ। বরং জানিয়েছেন, কোনও অনিয়ম বা কেলেঙ্কারি খুঁড়ে বার করা তাঁদের উদ্দেশ্য নয়। ওই সব খনিতে দাম কেন এত কম উঠল, শুধু সেই বিষয়টিই খতিয়ে দেখতে চান তাঁরা। অবশ্য তা সত্ত্বেও ওই দু’টি খনি জিন্দল স্টিলের হাতছাড়া হতে পারে এই আশঙ্কায় এ দিন সংস্থাটির শেয়ার দর পড়েছে ৮.৫২ শতাংশ।