ছবি: সংগৃহীত।
রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকার বিভিন্ন জায়গায় পর্যটন বিকাশের সম্ভাবনা যথেষ্ট। কিন্তু এর মধ্যে কয়েকটি পশ্চিমবঙ্গের ভ্রমণ মানচিত্রে ঠাঁই পেলেও অনেকটাই বাস্তবায়িত হয়নি। সম্প্রতি এই বার্তা দিয়ে বণিকসভা পিএইচডি চেম্বারের সভায় সংশ্লিষ্ট শিল্পের কর্তাদের দাবি, সীমান্ত-পর্যটন বিকাশের জন্য জরুরি পরিকাঠামোর আরও উন্নতি। জোর দিতে হবে সরকারি-বেসরকারি স্তরে সার্বিক পরিকল্পনাতেও।
গোটা দেশে সীমান্ত-পর্যটন বিকাশের লক্ষ্যে বিভিন্ন রাজ্যে আলাদা ভাবে আলাপ-আলোচনা চালাচ্ছে ওই বণিকসভা। সম্প্রতি এ রাজ্যে আয়োজিত সভায় মূলত মুর্শিদাবাদের পর্যটনকে কেন্দ্র করে অন্যান্য সীমান্ত এলাকায় বেড়ানোর সুযোগ, সুবিধা ও তা বিস্তারের চ্যালেঞ্জগুলি উঠে আসে। বাংলার ঐতিহ্যবাহী জায়গাগুলির কথা উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রকের অতিরিক্ত ডিজি রূপেন্দ্র ব্রারের দাবি, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে আন্তঃরাষ্ট্র পর্যটন বিকাশের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পশ্চিমবঙ্গ। ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব টুর অপারেটর্সের রাজ্য শাখার চেয়ারম্যান দেবজিৎ দত্তও মনে করাচ্ছেন, বাংলাদেশ, নেপাল ও ভূটান— তিন পড়শি দেশের সঙ্গে বঙ্গের সীমান্ত ভাগ করার কথা। বস্তুত, এ রাজ্যে পর্যটন ব্যবসার একটা বড় অংশের সূত্র বাংলাদেশ, দাবি তাঁর। তবে আক্ষেপ, বেশির ভাগ সম্ভাবনাই আড়ালে রয়েছে।
সহমত পর্যটন মন্ত্রকের প্রাক্তন সচিব বিনোদ জুৎসি। তাঁর বক্তব্য, রাজ্যের প্রান্তিক এলাকায় ট্রেন সংযোগ ভাল হলেও সীমান্তবর্তী এলাকায় পৌঁছতে সড়ক পরিবহণে আরও উন্নতি জরুরি। হেলিকপ্টার পরিষেবা এবং উড়ান প্রকল্পের আওতায় আরও বেশি ছোট বিমানবন্দর তৈরির পক্ষেও সওয়াল করেন তিনি।
মুর্শিদাবাদের আজিমগঞ্জে হেরিটেজ তকমা পাওয়া বাড়ি-কোঠির (বর্তমানে হোটেল) অন্যতম কর্ণধার দর্শন দুধোরিয়া সীমান্ত এলাকায় পর্যটনের বিকাশে প্রাচীন ইতিহাসকে তুলে ধরার এবং স্থানীয়দের সেই কাজে আরও বেশি যুক্ত করার উপরে জোর দেন। তবে তাঁর মতে, সরকারের সদিচ্ছা না-থাকলে শুধু বেসরকারি ক্ষেত্র একা সবটা করতে পারবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy