ফাইল চিত্র।
শুধু বিমান সংস্থাই এয়ার ইন্ডিয়া (এআই) কিনতে পারবে, এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। অন্য যে কোনও সংস্থা ভাঁড়ারে যথেষ্ট পুঁজি এবং পরিচালন ক্ষমতা বা দক্ষতা থাকলেই জোট বেঁধে এয়ার ইন্ডিয়া কেনার দৌড়ে নামতে পারে। শুধু আগ্রহী সংস্থা বা তাদের জোটের ন্যূনতম নিট সম্পদ হতে হবে ৫ হাজার কোটি টাকা।
অর্থ মন্ত্রকের বিলগ্নিকরণ দফতরের সচিব নীরজ গুপ্ত বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, প্রাইভেট ইকুইটি, ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফান্ড, যাদের বড় সংস্থা চালানোর ক্ষমতা রয়েছে, তারা জোট বেঁধে এয়ার ইন্ডিয়া কেনার জন্য এগিয়ে আসতে পারে।’’
এয়ার ইন্ডিয়ার ক্রেতা মিলছে না বলে জল্পনার মধ্যে বিলগ্নিকরণ দফতরের সচিবের এই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ রাজধানীর জল্পনা হল, অন্তত দু’টি বেসরকারি বিমান সংস্থা প্রথমে এয়ার ইন্ডিয়ার ৭৬ শতাংশ মালিকানা কেনায় আগ্রহ দেখালেও সরকারের শর্ত দেখে পিছিয়ে এসেছে। সরকারের সামনে ভরসা এখন একটিমাত্র বিমান সংস্থা। তারা বিদেশি সংস্থার সঙ্গে জোট বেঁধে এয়ার ইন্ডিয়া কিনতে পারে। বিলগ্নিকরণ সচিব অবশ্য আজ দাবি করেন, ‘‘এয়ার ইন্ডিয়া বেচার প্রস্তাবে বিমান সংস্থাগুলির বাইরে থেকেই বেশি সাড়া মিলেছে।’’
হাল-হকিকত
• এখন দেনা ৫০ হাজার কোটিরও বেশি। বছরে সুদই ৪-৫ হাজার কোটি
• ২০১২ সালে বাঁচিয়ে রাখতে ৩০ হাজার কোটির ত্রাণ প্রকল্প। দেওয়া হয়েছে ২২ হাজার কোটি
বিলগ্নিকরণ
• গত ২৮ জুন এয়ার ইন্ডিয়া বিলগ্নিকরণে নীতিগত ভাবে সায় দিল মন্ত্রিসভার আর্থিক বিষয়ক কমিটি
• পরে ছাড়পত্র ৪৯% পর্যন্ত বিদেশি লগ্নিতেও
• আগ্রহী ক্রেতা হিসেবে বিভিন্ন সময়ে শোনা গিয়েছে ইন্ডিগো, জেট এয়ারের কনসোর্টিয়াম, টাটাদের নাম। কিন্তু নিশ্চিত ভাবে ক্রেতার খোঁজ নেই এখনও
মরিয়া খোঁজ
• এয়ার ইন্ডিয়ার ৭৬% শেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত। বাকিটা কেন্দ্রের
• অর্ধেক ঋণের দায় কেন্দ্রের। বাকি নিলামে জেতা সংস্থার কারা যোগ্য
• যে কোনও দেশি বা বিদেশি সংস্থা বা তাদের জোট। থাকতে পারবে ব্যাঙ্ক, আর্থিক সংস্থাও
• কেন্দ্রীয় সরকারের যে কোনও সমবায় সমিতি
• এয়ার ইন্ডিয়ার পরিচালন কমিটি
• এয়ার ইন্ডিয়ার কর্মী বা কর্মীদের নিয়ে তৈরি জোট
• আগ্রহী সংস্থার ন্যূনতম নিট সম্পদ হতে হবে ৫ হাজার কোটি
• গত পাঁচটি অর্থবর্ষের তিনটিতে মুনাফা করতে হবে
আরও শিথিল
• বিমান পরিষেবা সংস্থা শুধু নয়, এয়ার ইন্ডিয়া নেওয়ার দরজা খোলা পুঁজি আর পরিচালনার দক্ষতা থাকলেই
• ব্রাত্য নয় ভেঞ্চার ক্যাপিটাল (যারা মূলত সম্ভাবনাময় নতুন সংস্থা বা স্টার্ট-আপে শেয়ার নিয়ে টাকা ঢালে) কিংবা প্রাইভেট ইকুইটি (যারা ছোট সংস্থার ব্যবসা সম্প্রসারণে পুঁজি জোগায়) সংস্থাও
রাজনীতিকদের মধ্যে এ নিয়ে এখনও সংশয় রয়েছে। আর সেই সংশয় বাড়িয়েছেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। তিনি দাবি তুলেছেন, এয়ার ইন্ডিয়া যেন দেশি সংস্থাকেই বিক্রি করা হয়। আরও এক ধাপ এগিয়ে সঙ্ঘ পরিবারের স্বদেশি জাগরণ মঞ্চের যুগ্ম-আহ্বায়ক অশ্বিনী মহাজনের দাবি, ৭৬ শতাংশ শেয়ার না বিক্রি করে এয়ার ইন্ডিয়ার জমি বেচে ঋণের বোঝা কমানো হোক। কারণ এয়ার ইন্ডিয়া রোজকার ব্যবসায় লাভ করছে। পুরনো ঋণের বোঝায় সংস্থাকে সার্বিক ভাবে ক্ষতির মুখ দেখতে হচ্ছে। মোদী সরকার অবশ্য এআই বিলগ্নিকরণ থেকে পিছু হটার কোনও ইঙ্গিত এখনই দিতে রাজি নয়। বরং ক্রেতার খোঁজে তারা মরিয়া।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy