রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার শেয়ারে বেশি পরিমাণে লগ্নির করতে হবে সুপারিশ। মিউচুয়াল ফান্ডের ম্যানেজারদের এ বার এই মর্মে নির্দেশ দিতে চলেছে কেন্দ্র। এর ফলে এক দিকে যেমন সরকারি সংস্থাগুলির কোষাগারে বাড়বে টাকার অঙ্ক, অন্য দিকে তেমনই দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাল রিটার্ন পাবেন গ্রাহক। ফলে এই বিকল্পটি তাঁদের কাছে লোভনীয় হয়ে উঠবে। যদিও এই ব্যাপারে সতর্কতার সঙ্গে পা ফেলতে চাইছেন মিউচুয়াল ফান্ডের ম্যানেজারেরা।
বিষয়টি নিয়ে চলতি বছরের ৯ এপ্রিল সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খোলেন বিনিয়োগ ও পাবলিক অ্যাসেট ম্যানেজ়মেন্ট দফতরের (ডিপার্টমেন্ট অফ ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড পাবলিক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট বা ডিআইপিএএম) সচিব অরুণীশ চাওলা। তিনি বলেন, ‘‘মিউচুয়াল ফান্ডের মাধ্যমে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিতে খুচরো বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করার দিকে জোর দিচ্ছে সরকার।’’
আরও পড়ুন:
তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, বর্তমানে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির বাজার মূলধনের মাত্র ১০ শতাংশে খুচরো লগ্নিকারীদের বিনিয়োগ রয়েছে। এর উপর মোট ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ প্রদান করে থাকে ওই সমস্ত সংস্থা। গত কয়েক বছর ধরেই সরকারি কোম্পানিগুলির আর্থিক স্বাস্থ্য ঠিক করার দিকে নজর দিয়েছে সরকার। মিউচুয়াল ফান্ডের মাধ্যমে তাদের শেয়ারে বিনিয়োগ বৃদ্ধির, সেই লক্ষ্যে কেন্দ্রের বৃহত্তর কৌশলের একটি অংশ বলে জানা গিয়েছে।
চাওলা বলেছেন, ‘‘আমরা রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির স্টক নিয়ে বিনিয়োগকারীদের ধারণা উন্নত করতে চাইছি। প্রাতিষ্ঠানিক লগ্নিকারীদের কাছে এর চাহিদা বাড়লে পরিস্থিতি অন্যরকম হবে।’’ পাশাপাশি, আগামী দিনে সরকারের হাতে থাকা শেয়ার আরও বেশি পরিমাণে বাজারে আনার ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
ব্রোকারেজ ফার্মগুলির দাবি, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির স্টকের প্রাইস টু বুকের অনুমান বেসরকারি সংস্থার থেকে এখনও অনেক পিছিয়ে রয়েছে। কিন্তু ফরোয়ার্ডের ক্ষেত্রে সেগুলি অনায়াসেই বেসরকারি সংস্থাগুলিকে পিছনে ফেলে দেবে। ফলে সরকারের এই পদক্ষেপকে ইতিবাচক বলেই মনে করছেন তাঁরা।