মার্কিন-চিন শুল্কযুদ্ধে রক্তাক্ত এনভিডিয়া। এক সপ্তাহের মধ্যে বাজারমূল্যের সাত শতাংশ হারাল আমেরিকার এই বহুজাতিক টেক জায়ান্ট। ১৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের বেশি লোকসান হয়েছে চিপ নির্মাণকারী সংস্থাটির। আগামী দিনে এই অঙ্ক আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন আর্থিক বিশ্লেষকেরা।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াল স্ট্রিটের শেয়ার বাজারে এনভিডিয়ার পরিচয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স বা এআই) ‘পোস্টার বয়’ হিসাবে। এত দিন চিনা বাজারে শক্তিশালী এআই চিপ রফতানি করছিল তারা। কিন্তু দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক লড়াই শুরু হতেই সেগুলির উপর চেপেছে নিষেধাজ্ঞা। মার্কিন টেক জায়ান্টটির শেয়ারের সূচক হু-হু করে নিম্নমুখী হওয়ার নেপথ্যে এই কারণটির উল্লেখ করছে সেখানকার অধিকাংশ ব্রোকারেজ ফার্ম।
গোদের উপর বিষফোড়ার মতো চিনের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ বেঁধে যাওয়ায় বহুজাতিক সংস্থাগুলির লাইসেন্সের নিয়মে বড় বদল এনেছে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগ। শুধু তা-ই নয়, অনির্দিষ্টকালের জন্য ড্রাগনভূমিতে এইচ২০ প্রসেসর রফতারি বন্ধ রেখেছে আমেরিকার প্রশাসন। সংশ্লিষ্ট প্রসেসরগুলি বিপুল সংখ্যায় চিনে পাঠানোর বরাত পেয়েছিল এনভিডিয়ার। এর ফলে মার্কিন টেক জায়ান্টটির বেড়েছে লোকসানের অঙ্ক।
এনভিডিয়ার পাশাপাশি চিপ নির্মাণকারী অন্যান্য সংস্থার শেয়ারেও বড় পতন দেখা গিয়েছে। তালিকায় রয়েছে অ্যাডভান্স মাইক্রো ডিভাইসেসের (এএমডি) নাম। এমআই৩০৮ নামের চিপ তৈরি করত এই সংস্থা। এদের ক্ষেত্রে সাত শতাংশ কমেছে স্টকের দর। এ ছাড়া ফিলাডেলফিয়া সেমিকন্ডাক্টরের শেয়ারের দাম ৪.১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। ইউরোপের এএসএমএল, এশিয়ার স্যামসাং এবং এসকে হিনিক্সের স্টকে পতন লক্ষ করা গিয়েছে।
আরও পড়ুন:
বিশেষজ্ঞদের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন বাণিজ্য নীতির নিষেধাজ্ঞার ফলে এনভিডিয়ার রাজস্ব ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে ৫৫০ কোটি ডলার। এএমডির ক্ষেত্রে লোকসানের অঙ্ক আট হাজার লক্ষ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।