প্রতীকী চিত্র।
বেআইনি অর্থ লগ্নি সংস্থার থেকে অ্যামওয়ে, টাপারওয়্যারের মতো প্রত্যক্ষ বিপণন সংস্থাগুলিকে (ডিরেক্ট সেলিং) আলাদা করতে ২০১৬ সালে নির্দেশিকা প্রকাশ করেছিল কেন্দ্র। কিন্তু এ সংক্রান্ত কঠোর আইন ছিল না। ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখে সোমবার সেই কনজ়িউমার প্রোটেক্শন (ডিরেক্ট সেলিং) রুল্স, ২০২১ আইনের খসড়া প্রকাশ করল সরকার। যেখানে বলা হয়েছে, দেশে পিরামিড এবং মানি সার্কুলেনশন স্কিম চালাতে পারবে না ওই সব সংস্থা। নিয়ম ভাঙলে জরিমানা হবে। ২১ জুলাইয়ের মধ্যে এ নিয়ে সব পক্ষের মতামত চাওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি ই-কমার্স ক্ষেত্রেও সংশোধনী খসড়া প্রকাশ করে মত জানতে চেয়েছে কেন্দ্র।
প্রসঙ্গত, পিরামিড ধাঁচে ব্যবসা বলতে বোঝায় বাড়তি সুবিধার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির মধ্যে ধাপে ধাপে ব্যবসা ছড়ানো। যেখানে সুবিধাগুলি আসলে উপরের ধাপে থাকা ব্যক্তিরা ভোগ করেন বলে অভিযোগ। আর একই প্রকল্পে একাধিক স্তরে টাকার হাতবদল চালানো হয় মানি সার্কুলেশন স্কিমে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে—
• পিরামিড বা মানি সার্কুলেশন স্কিম চালাতে পারবে না সংস্থাগুলি।
• বিভিন্ন আইনে নথিভুক্তি ছাড়াও রেজিস্ট্রেশন নম্বর পেতে নাম লেখাতে হবে শিল্প লগ্নি উন্নয়ন ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য দফতরে।
• ভারতে অন্তত একটি অফিস থাকতে হবে।
• নিয়োগ করতে হবে চিফ কমপ্লায়েন্স অফিসার, গ্রিভান্স রিড্রেসাল অফিসার, আইন সংস্থাগুলির সঙ্গে যোগাযোগের জন্য নোডাল কনট্যাক্ট পার্সন।
• ওয়েবসাইটে সংস্থার সব তথ্য, যোগাযোগের ঠিকানা ও ফোন নম্বর, পণ্যের তথ্য, দাম ও অভিযোগের পদ্ধতি জানাতে হবে।
• অন্য কাউকে পণ্য কিনিয়ে দিলে পরে গিয়ে সেই দামে ছাড় মিলবে, এ ধরনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে জিনিস বিক্রি করা যাবে না।
• পরিচয়পত্র ছাড়া এবং অ্যাপয়েন্টমেন্ট না-করে ক্রেতার বাড়ি যাওয়া যাবে না।
• সংস্থার অনুমোদন ছাড়া প্রপেক্টাস ক্রেতাকে দেওয়া যাবে না।
• বিক্রেতাদের পরিচয় এবং অন্যান্য নথি দিতে হবে।
• একাধিকবার খারাপ পণ্য বেচা বিক্রেতার তালিকা তৈরি রাখতে হবে।
• নেটে পণ্য বিক্রি করলে সংস্থার থেকে অনুমতি নিতে হবে।
• দোষী বা শাস্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তি বিক্রেতা হিসেবে কাজ করতে পারবেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy