Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

ভোটের ভরা মরসুমে বৃদ্ধিই বিপত্তি 

শেষ তিন কিস্তি ভোটের আগে মাসুদ আজহারের ‘সাফল্য’ যেমন মুঠোয় এল, তেমনই সামান্য পিছলে গেল বৃদ্ধি। বিশ্বের দ্রুততম বৃদ্ধির দেশের তকমা নিয়ে গর্ব করা মোদী সরকারের পক্ষে ব্যালট যুদ্ধের এই বাজারে যা সুখবর নয়।

গালে হাত: উত্তরপ্রদেশে ভোট প্রচারের ফাঁকে মোদী। পিটিআই

গালে হাত: উত্তরপ্রদেশে ভোট প্রচারের ফাঁকে মোদী। পিটিআই

নিজস্ব প্রতিবেদন
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০১৯ ০০:২২
Share: Save:

শেষ তিন কিস্তি ভোটের আগে মাসুদ আজহারের ‘সাফল্য’ যেমন মুঠোয় এল, তেমনই সামান্য পিছলে গেল বৃদ্ধি। বিশ্বের দ্রুততম বৃদ্ধির দেশের তকমা নিয়ে গর্ব করা মোদী সরকারের পক্ষে ব্যালট যুদ্ধের এই বাজারে যা সুখবর নয়।

গত মার্চ তথা আগের অর্থবর্ষে দেশের অর্থনীতির হাল সম্পর্কে রিপোর্ট ১ মে প্রকাশ করেছে অর্থ মন্ত্রকের আর্থিক বিষয়ক দফতর। তা অনুযায়ী, ২০১৭-১৮ সালে বৃদ্ধির হার যেখানে ৭.২% ছিল, সেখানে ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে তা নেমে আসছে ৭ শতাংশে। যার অন্যতম কারণ গত আর্থিক বছরের শেষ ত্রৈমাসিকে ৬.৫ শতাংশে নেমে যাওয়া। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই ভোটের ভরা মরসুমে অর্থনীতির এই মলিন ছবি চিন্তার ভাঁজ বাড়াবে মোদী সরকারের কপালে।

নোটবন্দি এবং তড়িঘড়ি জিএসটি চালুর ধাক্কায় বৃদ্ধির গতি ২ শতাংশ বিন্দু কমে যাবে বলে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ যে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, পরে তা কার্যত মিলে গিয়েছে অক্ষরে অক্ষরে। কিন্তু তাকে কখনও আমল দিতে চায়নি মোদী সরকার। পরেও অর্থনীতিবিদ এবং বিশেষজ্ঞরা যখন ওই জোড়া ধাক্কার কারণে অর্থনীতির চাকায় গতি কমার কথা বলেছেন, তখনও কেন্দ্র দাবি করেছে যে, ওই ঝিমিয়ে পড়া সাময়িক। কিন্তু এখন ২০১৮-১৯ সালে বৃদ্ধির এই তথ্য সামনে আসার পরে বিরোধীরা বলছেন, তার মানে পুরো মোদী জমানাতেই ওই জোড়া ধাক্কা কাবু করে রাখল অর্থনীতিকে।

বেসরকারি চাহিদায় যে ভাটা, তা মেনে নেওয়া হয়েছে রিপোর্টে। বলা হয়েছে শামুক গতিতে লগ্নি বৃদ্ধির কথা। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, বিনিয়োগের যদি এই হাল হয়, তবে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র সাফল্য কোথায়? চাহিদায় ভাটা বহু লোকের কাজ না থাকার ইঙ্গিতবাহী নয় কি?

অর্থ মন্ত্রকের দাবি, বৃদ্ধি সামান্য কমলেও দ্রুততম বৃদ্ধির দেশ ভারতই। কিন্তু অনেকে বলছেন, প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে নরেন্দ্র মোদী দাবি করতেন, ৮% বৃদ্ধির কক্ষপথে পৌঁছনো সম্ভব হচ্ছে না আসলে মনমোহন সরকারের দুর্নীতি ও নীতিপঙ্গুত্বে। তাঁদের প্রশ্ন, তা হলে মোদী জমানায় বৃদ্ধি এমন বেহাল কেন?

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE