Advertisement
E-Paper

Banking: দুর্ভোগ বহাল ধর্মঘটে

এ দিন ব্যাঙ্ক কর্মীদের সংগঠন এআইবিইএ-র সভাপতি রাজেন নাগর জানান, রাজ্যে প্রায় ৯০০০ ব্যাঙ্কের শাখায় সাধারণ কাজ হয়নি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২১ ০৭:৪৭
ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

কেন্দ্রের ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের প্রস্তাবের বিরোধিতায় কর্মী-অফিসারদের ন’টি সংগঠনের যৌথ মঞ্চ ইউএফবিইউ-এর ডাকা ধর্মঘটের শেষ দিন শুক্রবারেও ব্যাহত হল পরিষেবা। এ দিনও অল্প এটিএম খোলা ছিল। কিন্তু সেগুলির অধিকাংশেই নোট শেষ হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ফলে জরুরি প্রয়োজনে টাকা তুলতে গিয়ে নাকাল হয়েছেন অনেক গ্রাহক। যদিও যৌথ মঞ্চের দাবি, ধর্মঘটে গ্রাহকদের সমর্থনও তারা পেয়েছে। কেন্দ্র সিদ্ধান্ত বদল না-করলে টানা ধর্মঘটেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা।

এ দিন ব্যাঙ্ক কর্মীদের সংগঠন এআইবিইএ-র সভাপতি রাজেন নাগর জানান, রাজ্যে প্রায় ৯০০০ ব্যাঙ্কের শাখায় সাধারণ কাজ হয়নি। ক্লিয়ারিং হয়নি প্রায় ১৮,৬০০ কোটি টাকার ২০.৪০ লক্ষ চেক। অফিসারদের সংগঠন আইবকের রাজ্য সম্পাদক সঞ্জয় দাসের দাবি, রাজ্যের প্রায় ১১,০০০ এটিএমের সিংহভাগই বন্ধ ছিল। বহু খোলা এটিএমে টাকা ছিল না। সূত্রের খবর, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি তো বটেই, বেশ কিছু বেসরকারি ব্যাঙ্ক প্রথমে খুললেও পরে ধর্মঘটীদের আর্জি মেনে কয়েকটির শাটার নামিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। ধর্মঘটের আওতায় এ ছাড়া বিদেশি, সমবায় এবং গ্রামীণ ব্যাঙ্কগুলিকেও আনা হয়েছিল।

ইউএফবিইউ-এর আহ্বায়ক গৌতম নিয়োগী জানান, ‘‘ধর্মঘটে গ্রাহকদের সমর্থন পেয়েছি। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক বেসরকারি হাতে তুলে দিলে গ্রাহক ও দেশের স্বার্থ কী ভাবে ক্ষুণ্ণ হবে, তা নিয়ে প্রচার চালিয়েছিলাম।’’ তাঁর ও অপর সংগঠন বেফি-র সাধারণ সম্পাদক দেবাশিস বসু চৌধুরীর দাবি, “কেন্দ্র প্রস্তাব প্রত্যাহার না-করলে আরও বড় আন্দোলন হবে। প্রয়োজনে টানা ধর্মঘটও।’’ তবে অনেকের ধারণা, ব্যাঙ্কিং আইন সংশোধনী বিল চলতি অধিবেশনে পেশের সম্ভাবনা কম।

Bank Strike Banking Sector
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy