ফের সুদ কমাবে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই)? কেন্দ্রীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির মুদ্রানীতি কমিটির বৈঠক চলাকালীন এই নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে জল্পনা। বিশ্লেষকদের দাবি, এ বার আরবিআই রেপো রেট কমালে গাড়ি ও বাড়ির ঋণে মিলবে বড় স্বস্তি। সে ক্ষেত্রে বার্ষিক ৭.৭৫ শতাংশের নীচে নেমে যেতে পারে গৃহঋণে সুদের হার। সরকারি ও বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলিতে গড়ে ৫০ থেকে ৫৫ বেসিস পয়েন্ট পর্যন্ত সুদের হার নিম্নমুখী হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বর্তমানে ইউকো ব্যাঙ্ক, ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক, কানাড়া ব্যাঙ্ক, ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক এবং ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার মতো রাষ্ট্রায়ত্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে গৃহঋণ নিলে গ্রাহককে বছরে ৭.৭৫ থেকে ৭.৯ শতাংশ হারে দিতে হচ্ছে সুদ। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (এসবিআই) এবং পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের (পিএনবি) ক্ষেত্রে সুদের হার বেশি। দেশের এই দুই তথাকথিত বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠানে গৃহঋণে সুদের হার আট শতাংশ ধার্য করা হয়েছে। এর মধ্যে কানাড়া ব্যাঙ্কে এই সূচক কমতে পারে ৬০ বেসিস পয়েন্ট। পিএনবি এবং ব্যাঙ্ক অফ বরোদার ক্ষেত্রে সুদের হার ৪০ বেসিস পয়েন্ট পর্যন্ত হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, বলছেন আর্থিক বিশ্লেষকেরা।
এ ছাড়া এসবিআই-সহ বাকি সরকারি ব্যাঙ্কগুলিতে গৃহঋণে সুদের অঙ্ক কমতে পারে ৫০ বেসিস পয়েন্ট। বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলির মধ্যে এইচডিএফসির গ্রাহকেরা ৩০ বেসিস পয়েন্টের সুবিধা পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। আবার কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে গৃহঋণে সুদের হার ১০ বেসিস পয়েন্ট পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে। ডিবিএস ব্যাঙ্কের সর্বনিম্ন সুদের হার ৮.৯ শতাংশ বলে জানা গিয়েছে। এটিও ৫০ বেসিস পয়েন্ট পর্যন্ত কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে আরবিআই রেপো রেটে হ্রাস করলেও বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, ইয়েস ব্যাঙ্ক, আরবিএল ব্যাঙ্ক এবং ধনলক্ষ্মী ব্যাঙ্কের সুদের হারে কোনও বদল হবে না বলে ইতিমধ্যেই মিলেছে ইঙ্গিত। কারণ সুদ না কমিয়ে স্প্রেডে সামঞ্জস্য আনার রাস্তায় হেঁটেছে তারা। এতেও লাভবান হয়েছেন গ্রাহক।
আরও পড়ুন:
শুক্রবার, ৬ জুন মুদ্রানীতি কমিটির বৈঠক শেষে নতুন ঋণনীতি ঘোষণা করবেন আরবিআই গভর্নর সঞ্জয় মলহোত্র। তার আগে সোমবার, ২ জুন রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক ৫০ বেসিস পয়েন্ট সুদ কমাতে চলেছে বলে আর্থিক গবেষণা বিভাগের রিপোর্টে দাবি করে স্টেট ব্যাঙ্ক। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি এবং এপ্রিলে ২৫ করে মোট ৫০ বেসিস পয়েন্ট সুদ কমিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক।