রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই) রেপো রেট হ্রাস করায় গৃহঋণে মিলেছে স্বস্তি। গ্রাহকদের কিছুটা কমেছে মাসিক কিস্তির পরিমাণ। রেপো রেটের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ভাসমান হারের গৃহঋণের ক্ষেত্রে সুদের সূচক নিম্নমুখী হয়েছে ৫০ বেসিস পয়েন্ট। অন্য দিকে তহবিলের প্রান্তিক ব্যয়ভিত্তিক ঋণের হার বা এমসিএলআর (মার্জিনাল কস্ট অফ ফান্ডস বেসড লেন্ডিং রেট) ভিত্তিক গৃহঋণে সুদ ২৫ থেকে ৩০ বেসিস পয়েন্ট কমে গিয়েছে। চলতি বছরের ৬ জুন রেপো রেট ৬.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫.৫ শতাংশে নিয়ে এসেছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক।
আর্থিক বিশ্লেষকদের দাবি, গৃহঋণে সুদ কমে যাওয়ায় গ্রাহকের হাতে থাকবে অতিরিক্ত অর্থ। কারণ, প্রতিটা কিস্তিতে কম টাকা জমা করতে হবে তাঁকে। দীর্ঘমেয়াদি ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে অনায়াসেই সেই অর্থ ব্যবহার করতে পারবেন তাঁরা। অর্থাৎ, উচ্চ মূল্যের দীর্ঘমেয়াদি ঋণগুলি দ্রুত পরিশোধ করে ফেলার সুযোগ পাবেন গ্রাহক, বলছেন আর্থিক বিশ্লেষকেরা।
আরও পড়ুন:
বর্তমানে গৃহঋণে ভাসমান হারে বার্ষিক সুদের হার গড়ে ৭.৮৫ শতাংশের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। বছরের এই সময়ে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার বেতনভোগী কর্মীদের একাংশ বোনাস বাবদ অতিরিক্ত অর্থ পেয়ে থাকেন। ফলে হাতে অতিরিক্ত অর্থ থাকলে আগাম টাকা জমা করে মেয়াদ শেষের আগেই গৃহঋণ থেকে মুক্তি পেতে পারেন সংশ্লিষ্ট গ্রাহক। তবে এ ক্ষেত্রে বেশ কিছু হিসাবের দিকে নজর রাখতে হবে তাঁদের।
ব্যাঙ্কের নিয়ম অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তি যদি গৃহঋণ আগাম মিটিয়ে দিতে চান, সে ক্ষেত্রে কমবে সংশ্লিষ্ট ঋণের মেয়াদ। একটি উদাহরণের সাহায্যে বিষয়টি বুঝে নেওয়া যেতে পারে। ধরা যাক, কোনও ব্যক্তি ১৫ বছরের মেয়াদে ৩০ লক্ষ টাকা গৃহঋণ নিয়েছেন। এর পর পাঁচটি মাসিক কিস্তির দু’লক্ষ টাকা আগাম মিটিয়ে দিলেন তিনি। সে ক্ষেত্রে তাঁর মোট ঋণ পরিশোধের মেয়াদ অন্তত দু’বছর কমবে বলে জানিয়েছেন আর্থিক বিশ্লেষকেরা।
সময় কমার পাশাপাশি গৃহঋণের ক্ষেত্রে আগাম কিস্তির টাকা পরিশোধ করলে কমে যাবে সুদও। এ ভাবে সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের সাত থেকে আট শতাংশ সুদ বাঁচানোর সুযোগ রয়েছে। তবে নতুন কর কাঠামোতে গৃহঋণের সুদের উপরে কোনও ছাড় নেই। পুরনো কর কাঠামোতে এতে ছাড় পাবেন গ্রাহক।