সারা দেশে যখন বেকারত্বের হার উদ্বেগ বাড়াচ্ছে, তখন আতিথেয়তা শিল্পের কিছুটা হলেও আশার ইঙ্গিত মিলছে। ফাইল চিত্র।
পট পরিবর্তনের ইঙ্গিত! মাঝে ব্যবধান দশ মাসের।
করোনার একের পর এক ঢেউয়ে বিধ্বস্ত হোটেল-রেস্তরাঁ শিল্পমহল বছরের গোড়ায় রাজ্যের কাছে ছাড়ের আর্জি জানিয়েছিল। বলেছিল, ঘোর অনিশ্চয়তার মধ্যে বাড়ি ফিরে যাওয়া বহু কর্মীই আর ফিরতে আগ্রহী নন। কিন্তু এ বারের দুর্গাপুজো, দীপাবলি, ভাইফোঁটায় ঘটেছে ঠিক উল্টো। হোটেল অ্যান্ড রেস্তরাঁ অ্যাসোসিয়েশন অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার (এইচআরএইআই) দাবি, সার্বিক ভাবে এ বারের উৎসবের মরসুমে ব্যবসা প্রাক্-করোনা পর্বকে (২০১৯ সালের) ছুঁয়ে ফেলেছে। বহু কর্মীই কাজে ফিরেছেন। নতুন সম্ভাবনার ভিতের উপরে দাঁড়িয়ে বছরের শেষ ও ইংরেজি নববর্ষের ব্যবসা করোনার আগের অবস্থাকে ছাপিয়ে যাবে বলে আশা তাদের। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, সারা দেশে যখন বেকারত্বের হার উদ্বেগ বাড়াচ্ছে, তখন আতিথেয়তা শিল্পের কিছুটা হলেও আশার ইঙ্গিত মিলছে।
অতিমারিতে পূর্ণ, আংশিক কিংবা বিক্ষিপ্ত লকডাউনের জেরে কার্যত কোমর ভেঙে গিয়েছিল পর্যটন, হোটেল রেস্তরাঁ-সহ আতিথেয়তা ব্যবসার। বহু ছোট-বড় হোটেল-রেস্তরাঁ বন্ধ হয়ে যায়। বিধিনিষেধ ওঠার পরে আবার ব্যবসার সম্ভাবনায় নতুন করে পাঁচিল তোলে চড়া মূল্যবৃদ্ধি। এই অবস্থায় পুজোয় বিধিনিষেধের বেড়াজাল না থাকাটা এই ব্যবসার সামনে কার্যত লিটমাস পরীক্ষা ছিল।
এইচআরএইআইয়ের প্রেসিডেন্ট সুদেশ পোদ্দারের দাবি, এই সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে পুজোয় আতিথেয়তা শিল্প সাফল্য পেয়েছে। হোটেল, রেস্তরাঁ, হোম স্টে, গেস্ট হাউস, ধাবা, হোম ডেলিভারি, ক্লাউড কিচেন, পাব, নাইট ক্লাব, এমনকি রাস্তার পাশের খাবারের দোকানও গত ৫ অক্টোবর পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য ব্যবসা করেছে।
শিল্পের বক্তব্য, অতিমারি পর্বে এ রাজ্যের হোটেল-রেস্তরাঁয় কাজ চলে যাওয়া কিংবা ছেড়ে দেওয়া কর্মীর হার ছিল ২৫%-৩০%। সুদেশ জানান, দুর্গাপুজোর সময়ে তাঁরা পুরনো কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। কর্মীদের একাংশও কাজে ফেরার ব্যপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ফলে ওই সময়ে ১০%-১৫% অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করতে পেরেছে এই শিল্পমহল। শিল্পের হিসাব, ২০১৯ সালের পুজোর তুলনায় ব্যবসা গড়ে প্রায় ২০%-২৫% বেড়েছে। অতিথিদের আনোগোনা বেড়েছে গড়ে প্রায় ১০%-১৫%। তাদের ব্যাখ্যা, দুর্গাপুজো মিটে গেলে কেনাকাটা-খাওয়াদাওয়ায় খরচ কমে। তবে এ বার দীপাবলি, ভাইফোঁটা, হ্যালোউইনে সেই খরচের রেশ কিছুটা বজায় ছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy