লাইনে দাঁড়িয়ে সিনেমার টিকিট কাটার দিন কবেই ফুরিয়েছে। ট্রেন বা প্লেনের টিকিট, বই, সিডি, মোবাইল-সহ বিভিন্ন বৈদ্যুতিন গ্যাজেটও নেট বাজারের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। সেই তালিকায় ঢুকে পড়েছে বাড়িও। আর এ বার আরেক ধাপ এগিয়ে নেটবাজারে নিয়মিত ‘সেল’বা কম দামে বিক্রির সুযোগ দিতেও পিছপা হচ্ছে না আবাসন শিল্প।
স্ন্যাপডিলের মতো ই-কমার্স সংস্থা থেকে এন কে রিয়্যালটরস-এর মতো আবাসন বিপণন সংস্থা। প্রযুক্তি আর নতুন প্রজন্মের ক্রেতা - এই দুইকে হাতিয়ার করে এ বার নেট বাজারে বাড়ি বিক্রি করতে ঝাঁপাচ্ছে আবাসন শিল্প। শুক্রবার স্ন্যাপডিল জানিয়েছে ‘ফ্রিডম ফ্রম রেন্ট’ নামে বাড়ি বিক্রির অনলাইন সেল শুরু করছে তারা। জানুয়ারি মাসের ১৪ থেকে ২০ তারিখ পর্যন্ত চলবে এই বাড়ি বিক্রির মেলা। দিল্লি, গুরগাঁও, নয়ডা, বেঙ্গালুরু, মুম্বই, চেন্নাই, পুনে ও কলকাতার ১০০টি প্রকল্প এই মেলায় যোগ দিয়েছে বলে জানান স্ন্যাপডিলের অন্যতম কর্তা টোনি নবীন। বাড়ির দাম ২০ লক্ষ থেকে ৫ কোটি। তবে ক্রেতা টানার মূল চমক দামে ছাড়ের সুযোগ। এই মঞ্চ ব্যবহার করে নির্মাণ সংস্থার সঙ্গে আলোচনা চালাতে পারবেন ক্রেতারা। আর সেই সুযোগে ৬ থেকে ৮ শতাংশ ছাড় পেতে পারেন ক্রেতারা।
এত দিন নেট দুনিয়া ঘেঁটে বিভিন্ন প্রকল্পের খোঁজখবর নিতেন ক্রেতারা। গুগলের একটি সমীক্ষা অনুযায়ী গত চার বছরে ৪৩০০ কোটি মার্কিন ডলারের লেনদেন প্রভাবিত করেছে নেটের মাধ্যমে পাওয়া তথ্য। এ বার শুধু মাত্র খোঁজখবর নয়। বাড়ি কেনার প্রাথমিক পর্বও অনেকে নেটে সেরে ফেলছেন।
নয়া এই বাজারের উত্থানের পেছনে রয়েছে নয়া প্রজন্মের ক্রেতা। সংশ্লিষ্ট মহলের সমীক্ষা বলছে ক্রেতাদের গড় বয়স এখন ২৯ থেকে ৪২ বছর। গত বছরেও যা ছিল ৩১ থেকে ৪৫। ফলে নেট ব্যবহার করতে স্বচ্ছন্দ ক্রেতার সংখ্যা বাড়ছে। আর এই স্বাচ্ছন্দ্যকে পুঁজি করেই অনলাইন বাজারে বিক্রি বাড়াতে চাইছে নির্মাণ সংস্থাগুলি। কমনফ্লোর ডট কম, হাউজিং ডট কম, মাকান ডট কমের মতো অনলাইন সংস্থা ছাড়াও রয়েছে টাটা ভ্যালু হোমস, সিদ্ধা গোষ্ঠীর মতো নির্মাণ সংস্থা। বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০২০ সালে রিয়েল এস্টেট বা নির্মাণ শিল্প ছুঁয়ে ফেলবে ১১ লক্ষ কোটি টাকা। তথ্য পরিসংখ্যান বলছে অনলাইন বাজারের মাপ মোট বাজারের ৩০ শতাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy