Advertisement
E-Paper

Share Market: বাজারের বড় পতনে খুলল নতুন লগ্নির পথ

বাজার এতটা পড়ল কেন? বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, এর জন্য বিশেষ করে দায়ী নগদ জোগান নিয়ে লগ্নিকারীদের আশঙ্কা।

অমিতাভ গুহ সরকার

শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২১ ০৭:০৪

বাজার টানা উঠে অস্বাভাবিক উচ্চতায় পৌঁছে যাওয়া সত্ত্বেও কেন সংশোধনের মুখে পড়ছে না, এই প্রশ্নে উদ্বেগ বাড়ছিল বিশেষজ্ঞদের একাংশের। তাঁদের কিছুটা স্বস্তি দিয়ে গত সপ্তাহের শেষ তিন দিনে সেনসেক্স নেমেছে ২০৪৪ পয়েন্ট। ১৯ অক্টোবর ৬২ হাজার ছোঁয়া সূচক গত শুক্রবার থেমেছে ৫৯,৩০৭ অঙ্কে। তিন দিনে ৫৯৭ নেমে নিফ্‌টি হয়েছে ১৭,৬৭২। দাম কমেছে ছোট ও মাঝারি সংস্থার শেয়ারগুলিরও। সব মিলিয়ে বেশ কিছু শেয়ারের দাম আকর্ষণীয় জায়গায় পৌঁছেছে। ফলে নতুন লগ্নি করবেন বলে যাঁরা নগদ নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন, এই পতন তাঁদের সামনে সেই সুযোগ খুলে দিয়েছে।

বাজার এতটা পড়ল কেন? বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, এর জন্য বিশেষ করে দায়ী নগদ জোগান নিয়ে লগ্নিকারীদের আশঙ্কা। কারণ—

মূল্যবৃদ্ধি মাথা তোলায় বিভিন্ন দেশে শীর্ষ ব্যাঙ্ক কোভিড খাতে ত্রাণ বন্ধের কথা ভাবছে। যা সত্যি হলে বাজারে নগদের জোগান কমবে। ভারতে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কও পরিবর্তনযোগ্য রিভার্স রেপো রেট নিলাম করার কথা ঘোষণা করেছে। ২ নভেম্বর এই নিলামের মাধ্যমে তারা বাজার থেকে শুষে নিতে চায় ৫০,০০০ কোটি টাকা। লক্ষ্য, ডিসেম্বরের মধ্যে ৬ লক্ষ কোটি ষে নিয়ে টাকার বাড়তি জোগানকে স্বাভাবিক করা। এটা মূল্যবৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজে দেবে। মূলত এই খবরেই দুর্বল হয় বাজার, বিশেষত ব্যাঙ্কের শেয়ার। ডিসেম্বরে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের ঋণনীতি কমিটি রিভার্স রেপো রেট (যে হারে আরবিআই অন্যান্য ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেয়) ৩.৩৫% থেকে বাড়াতে পারে বলেও অনেকে মনে করছেন। কারণ ওই একই।

পতনের আরও কিছু কারণ হল—

 অনেকগুলি সংস্থা বাজারে প্রথম শেয়ার ছেড়ে প্রায় ২৫,০০০ কোটি টাকা তুলতে চায়। এগুলিতে আবেদন করার তাগিদে অনেকে শেয়ার বেচে টাকা জমাচ্ছেন।

 শেয়ারের দাম ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় চলে যাওয়ায় একাংশ লাভ তুলে নেন।

 শেয়ার বিক্রি করছেন বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি। অক্টোবরে বিক্রির পরিমাণ ১৮০০০ কোটি টাকা।

 সেপ্টেম্বরে পরিকাঠামোয় উৎপাদন বেড়েছে ৪.৪%, যা সাত মাসে ন্যূনতম। অগস্টে বৃদ্ধি ছিল ১১.৫%।

তার উপরে গত সপ্তাহে প্রকাশ হওয়া বেশ কিছু সংস্থার জুলাই-সেপ্টেম্বরের ফল আশানুরূপ হয়নি। মারুতি-সুজুকির নিট মুনাফা ১৩৭১ কোটি টাকা কমে হয়েছে ৪৭৫ কোটি, এল অ্যান্ড টি-র ৫৫২০ কোটি থেকে নেমেছে ১৮১৯ কোটি টাকায়। বন্ধন ব্যাঙ্কের লোকসান হয়েছে ৩০০৮ কোটি, ইন্ডিগোর ক্ষতি ২৩৮ কোটি বেড়ে ছুঁয়েছে ১৪৩৬ কোটি টাকা। তবে ইমামির লাভ ৫৬% বেড়েছে, বজাজ অটোর ১২%, আইটিসি-র ১০%।

(মতামত ব্যক্তিগত)

Share Market Sensex BSE
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy