Advertisement
০৫ মে ২০২৪

চটকলে প্রস্তাব বেতন বৃদ্ধির

বৃহস্পতিবার চটকল মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়নগুলিকে নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক।

সরকারের তরফে রাজ্যের চটকল শ্রমিকদের অন্তর্বর্তীকালীন বেতন কাঠামো ফেব্রুয়ারি থেকে দৈনিক ৬০-৭০ টাকা বৃদ্ধির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

সরকারের তরফে রাজ্যের চটকল শ্রমিকদের অন্তর্বর্তীকালীন বেতন কাঠামো ফেব্রুয়ারি থেকে দৈনিক ৬০-৭০ টাকা বৃদ্ধির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০১৯ ০৪:৩৪
Share: Save:

গত কয়েক মাস ধরেই বেতন বৃদ্ধি-সহ বিভিন্ন আর্থিক সুবিধার দাবি জানিয়ে আসছেন রাজ্যের চটকল শ্রমিকেরা। বৃহস্পতিবার চটকল মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়নগুলিকে নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক। সূত্রের খবর, সেখানে সরকারের তরফে অন্তর্বর্তীকালীন বেতন কাঠামো ফেব্রুয়ারি থেকে দৈনিক ৬০-৭০ টাকা বৃদ্ধির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ২০১৫ সালের এপ্রিলে যে সমস্ত শ্রমিকের সঙ্গে মালিক পক্ষের শেষ চুক্তি হয়েছিল, শুধুমাত্র তাঁদের জন্য এই প্রস্তাব বলে দাবি সংশ্লিষ্ট মহলের।

এ বিষয়ে বার বার চেষ্টা করেও শ্রমমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। ফলে বৈঠকের প্রস্তাব সম্পর্কে মন্ত্রীর মতামত জানা সম্ভব হয়নি। তবে দৈনিক মজুরি বৃদ্ধির প্রস্তাব যে দেওয়া হয়েছে, তা স্বীকার করেছেন চটকল মালিকদের একাংশ। আইএনটিইউসি সমর্থিত ন্যাশনাল ইউনিয়ন অব জুট ওয়ার্কার্সের সাধারণ সম্পাদক গণেশ সরকারের দাবি, ২০১৫ সালে চুক্তি হয়েছিল, এমন শ্রমিকদের ক্ষেত্রেই মজুরি বাড়ার প্রস্তাব দিয়েছেন মন্ত্রী। যদিও প্রস্তাবটি নিয়ে তাঁদের আপত্তি রয়েছে।

বেতন কাঠামো-সহ বিভিন্ন বিষয়ে এ বছরই চটকল মালিকদের সঙ্গে শ্রমিক ইউনিয়ন ও রাজ্যের ত্রিপাক্ষিক চুক্তি হওয়ার কথা। ইতিমধ্যেই চট শিল্পের ২১টি শ্রমিক সংগঠন বেতন বৃদ্ধি-সহ অন্যান্য আর্থিক সুবিধার দাবিগুলি জানিয়েছে। এ দিনের ত্রিপাক্ষিক বৈঠক কার্যত সেই দাবি-দাওয়া খতিয়ে দেখতেই।

মাসখানেক আগে ইউনিয়নগুলি যে দাবি-সনদ পেশ করেছিল, তাতে শ্রমিকদের বেতন মাসে গড়ে ১৮ হাজার টাকা করার কথা বলা হয়েছে। রয়েছে মহার্ঘভাতা ১.৯% থেকে বাড়িয়ে ২.৫% করা, ৯০% কর্মীকে স্থায়ী করা, অবসরের বয়স ৫৮ থেকে বাড়িয়ে ৬০ বছর করার মতো দাবিও।

কিন্তু চটশিল্প মহল সূত্রে খবর, ইউনিয়নগুলির অধিকাংশ দাবি চটকল মালিকেরা মানতে পারবেন না বলে অনেক আগেই রাজ্যকে জানিয়েছিলেন। যুক্তি ছিল, রাজ্যে চটশিল্পের আর্থিক স্বাস্থ্য তেমন ভাল নয়। পাটজাত পণ্যের বাজার কমছে। নতুন চটকলগুলির তুলনায় বেশি উৎপাদন খরচ মাথাব্যথার কারণ। দেশের চটকলগুলির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে কর্মীরা বেশি বেতন পান বলেও মালিকদের তরফে রাজ্যের কাছে দাবি করা হয়েছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Wage Jute Mill
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE