ভারত ধরে রাখতে পারে বিশ্বের দ্রুততম বৃদ্ধির অর্থনীতি হওয়ার শিরোপা। প্রতীকী ছবি।
এক দিকে এডিবি-র রিপোর্ট বলছে, সরকারি-বেসরকারি লগ্নির হাত ধরে চলতি অর্থবর্ষে (২০২২-২৩) ৭.৫% আর্থিক বৃদ্ধি দেখতে পারে ভারত। ধরে রাখতে পারে বিশ্বের দ্রুততম বৃদ্ধির অর্থনীতি হওয়ার শিরোপাও। অন্য দিকে পরিষেবা ক্ষেত্রে আরও উন্নতির ইঙ্গিত দিয়েছে পিএমআই (এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল ইন্ডিয়া সার্ভিসেস পিএমআই বিজ়নেস অ্যাক্টিভিটি ইনডেক্স)। মার্চে সূচকটি ফেব্রুয়ারির ৫১.৮ থেকে বেড়ে ৫৩.৬ হয়েছে। তা ৫০-এর উপরে থাকলে বৃদ্ধি, কম হলে সঙ্কোচন। তবে আশার পিছনে যে ঘাপটি মেরে বসে আশঙ্কা, সেটাও স্পষ্ট দুই রিপোর্টে। তেল এবং কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি যার উৎস। তাতে ভর করে মাথা তুলেছে আস্থার অভাব, আর্থিক অনিশ্চয়তা, বেকারত্ব বৃদ্ধির প্রশ্ন।
পিএমআই নির্ধারণের সমীক্ষা বলছে, চাহিদা বৃদ্ধিই পরিষেবার কর্মকাণ্ড বাড়িয়েছে। কিন্তু মার্চে কাঁচামালের দামও ১১ বছরে মধ্যে সর্বাধিক। তাদের মতে, জোগানের ঘাটতি তৈরি হয়েছে ইউক্রেনে যুদ্ধের জেরে। যা পরিষেবা ক্ষেত্রে মূল্যবৃদ্ধিকে ঠেলে তুলেছে। তাই কেনাকাটার ঝোঁক বা পরিষেবা প্রদানকারীদের ব্যবসা বাড়লেও, আস্থা ঝিমিয়েই। আর ব্যবসার বৃদ্ধি নিয়ে আস্থার অভাব হচ্ছে মানে, মার্চে কর্মসংস্থান
ফের কমবে।
এডিবি-র রিপোর্টেও উন্নয়নশীল এশিয়ার জন্য সতর্কবার্তা পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ঘিরেই। ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা, বিশ্ব অর্থনীতির অনিশ্চয়তা এবং নতুন করে কোভিড সংক্রমণের ঝুঁকির কথাও আছে। তবে ভারতকে দক্ষিণ এশিয়ায় উন্নয়নের চালিকাশক্তি বলেছে এডিবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy