গত চার দিন ধরে চলা ভারত-পাকিস্তান ‘যুদ্ধে’ আপাতত ইতি। শনিবার, ১০ মে সংঘর্ষবিরতির ঘোষণা করে দুই প্রতিবেশী। নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদের মধ্যে সংঘাত তীব্র হওয়ায় অস্থির ছিল শেয়ার বাজার। ফলে বেশ কিছুটা নেমে যায় সেনসেক্স ও নিফটি। সীমান্তে গোলা-গুলি বন্ধ হওয়ায় সোমবার, ১২ মে ফের সূচকের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল, বলছেন আর্থিক বিশ্লেষকেরা।
ব্রোকারেজ ফার্মগুলির দাবি, বছরের পর বছর ধরে ভারতীয় বাজার স্থিতিশীলতা বজায় রেখেছে। সংঘর্ষবিরতির ফলে নতুন করে সংঘাতের আশঙ্কা অনেকটাই কমল। আর তাই লগ্নিকারীরা ফের শেয়ার কেনায় মন দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে। এতে বাজার চাঙ্গা হলে দ্রুত তা পুরনো অবস্থায় ফিরতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন বিশ্লেষকদের একাংশ।
ভূ-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা কেটে যাওয়ার পর ঐতিহাসিক ভাবে বম্বে এবং ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ পুরনো ছন্দে ফিরতে খুব বেশি সময় নেয়নি। তবে এ বার যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় সেটা অতটা দ্রুত না হতেও পারে। ব্রোকারেজ ফার্মগুলি জানিয়েছে, সোমবার, ১২ মে বাজারে ২০০ থেকে ৩০০ পয়েন্টের বৃদ্ধি দেখা যেতে পারে। নতুন করে ভারত-পাক সংঘাত সৃষ্টি না হলে আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে বিনিয়োগকারীদের যাবতীয় লোকসান পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গত সপ্তাহের শেষ লেনদেনের দিনে (পড়ুন শুক্রবার, ৯ মে) ফের একবার ৮০ হাজারের নীচে নেমে যায় বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের (বিএসই) সূচক। বাজার বন্ধ হওয়ার সময়ে ৭৯,৪৫৪.৪৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছিল সেনসেক্স। এতে ৮৮০.৩৪ পয়েন্টের বা ১.১০ শতাংশের পতন লক্ষ করা গিয়েছিল।
অন্য দিকে নিফটি-৫০ নেমেছিল ২৬৫.৮০ পয়েন্ট। শুক্রবার, ৯ মে দিনের শেষে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের (এনএসই) এই সূচক দাঁড়িয়েছিল ২৪,০০৮ পয়েন্টে। অর্থাৎ ১.১ শতাংশ নিম্নমুখী হয়েছিল ওই বাজারের স্টকের সূচক।
উল্লেখ্য, শনিবার, ১০ মে সংঘর্ষবিরতির ঘোষণার সাড়ে তিন ঘণ্টার মধ্যেই তা ভেঙে সীমান্তে গুলিবর্ষণ করে পাক সেনা। পাল্টা জবাব দেয় ভারতও। কিছুক্ষণ পর অবশ্য সেটা বন্ধ করে ইসলামাবাদ। রবিবার ফের পাকিস্তান নিয়ম ভাঙলে সম্পূর্ণ অন্যদিকে বাঁক নেবে পরিস্থিতি। সে ক্ষেত্রে বাজার অস্থির হওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না আর্থিক বিশ্লেষকেরা।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: শেয়ার বাজারে লগ্নি বাজারগত ঝুঁকি সাপেক্ষ। আর তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই স্টকে বিনিয়োগ করুন। এতে আর্থিক ভাবে লোকসান হলে আনন্দবাজার ডট কম কর্তৃপক্ষ কোনও ভাবেই দায়ী নয়।)