জেপি মর্গ্যান। —ফাইল চিত্র।
ভারত সরকারের বন্ড (ঋণপত্র) ঠাঁই পাচ্ছে আর্থিক ক্ষেত্রের বহুজাতিক জেপি মর্গ্যানের আন্তর্জাতিক সূচকে। যার আওতায় উন্নয়নশীল দেশগুলির ঋণপত্র বিশ্ব বাজারে বিক্রি করে সংস্থাটি। ভারতের ২৩টি বন্ড তাতে সংযুক্তির যোগ্যতা অর্জন করেছে। মূলধনী বাজার বিশেষজ্ঞদের আশা, এতে বিশ্বে ভারতীয় বন্ডের কদর বাড়বে। লগ্নির ঠিকানা হিসেবে বাড়বে দেশের বিশ্বাসযোগ্যতা। বিদেশি লগ্নি বাড়বে দেশীয় ঋণপত্রের বাজারে। বিশ্ব বাজার থেকে কম সুদে তহবিল সংগ্রহের পথ খুলবে। তাঁদের দাবি, শুধু ভারতের ঋণপত্রের বাজার নয়, শেয়ার বাজারও চাঙ্গা হবে এতে। টাকার দাম বাড়বে। পোক্ত হবে অর্থনীতি।
শুক্রবার জেপি মর্গ্যান জানিয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক ঋণপত্র সূচকে আগামী বছরের জুনে ভারতীয় বন্ডকে যুক্ত করে তার গুরুত্ব (ওয়েটেজ) পর্যায়ক্রমে বাড়াবে ২০২৫-এর মার্চ পর্যন্ত। সর্বোচ্চ গুরুত্ব হবে ১০%। ১০ মাস ধরে বাড়বে ১% করে।
কেন্দ্রের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা অনন্ত নাগেশ্বেরন বলেন, “ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির সম্ভাবনার পাশাপাশি কেন্দ্রের নীতির উপর মূলধনী বাজারের লগ্নিকারীরা যে আস্থা দেখিয়েছেন, তাতে সিলমোহর দিল জেপি মর্গ্যান। এ দেশে শেয়ারে দীর্ঘমেয়াদি লগ্নি করে যেমন অনেকে লাভবান হয়েছেন, তেমনটাই ঘটবে ঋণপত্রের বাজারে।’’ আর্থিক বিষয়ক সচিব অজয় শেঠ-এর মন্তব্য, “ভারতীয় অর্থনীতিতে আস্থার নজির এই সিদ্ধান্ত।’’
শেয়ার বাজার বিশেষজ্ঞ আশিস নন্দীর মতে, জেপি মর্গ্যানের ঋণপত্রের ওই সূচকের মোট মূল্য ২৫,০০০ কোটি ডলার (প্রায় ২০,৭৩,৫০০ কোটি টাকা)। ফলে ভারতীয় বন্ডে ২৫০০ কোটি ডলার (প্রায় ২,০৭,৩৫০ কোটি টাকা) পর্যন্ত লগ্নির পথ খুলল। ২৩ বন্ডের মোট মূল্য (নোশনাল ভ্যালু) হবে ৩৩,০০০ কোটি ডলার। অর্থাৎ প্রায় ২৭,৩৭,০২০ কোটি টাকা লগ্নি আসব দেশে। বিশেষজ্ঞ কমল পারেখ বলছেন, লগ্নির গন্তব্য হিসেবে বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ায় চড়বে দেশের শেয়ার বাজারও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy