বদলাচ্ছে ভারতের কর্মসংস্কৃতি। কাজের ধরন পরীক্ষামূলক হলে এবং সময়ের সঙ্গে মানাতে পারলে টিকে থাকা যাবে, মত বেশির ভাগ কর্মীর। চাকরি উপদেষ্টা ইন্ডিড-এর সমীক্ষায় ৫৮ শতাংশের বক্তব্য, ২০২৭-এর মধ্যে যাঁরা নতুন পরিবেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পাল্টাতে পারবেন, তাঁরা সুবিধা পাবেন বেশি।
অগস্টে ইন্ডিড-এর হয়ে ৩৮৭২ জন ব্যক্তিকে নিয়ে ‘ওয়ার্কপ্লেস ট্রেন্ডস রিপোর্ট ২০২৫’ সমীক্ষা চালায় ভ্যালুভক্স। তাঁদের মধ্যে ১২৮৮ জন নিয়োগকারী ও ২৫৮৪ জন হয় কর্মরত বা কাজ খুঁজছেন। সমীক্ষা বলছে, অধিকাংশ শুধু কাজ বা সংস্থার প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে উৎপাদনশীলতায় জোর দিতে নারাজ। প্রতি পাঁচ জনের দু’জনই চান কৃত্রিম মেধায় জোর দেওয়া হোক। কর্মীরা দক্ষতা বাড়ান ও সময়-সুবিধা অনুসারে কাজ করুন। অধস্তন কর্মীরা উচ্চপদস্থদের দক্ষতা বিচার করুন ও তাঁদের পরামর্শ দিন।
কাজ থেকে বিরতি নিয়ে শরীর-মনকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম দেওয়া ও দক্ষতা বাড়িয়ে ফেরার সুবিধা চান বহু কর্মী।সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৪১ শতাংশেরদাবি, তাঁরা কাজ-পরিবারের মধ্যে ভারসাম্য রেখে চলতে চান। ইন্ডিড ইন্ডিয়ার এমডি শশী কুমারের মতে, দেশে কাজের ধরন পাল্টাচ্ছে। তাতে বিশ্রাম নেওয়া আর প্রগতির অন্তরায় নয়। বরং বিরতি নিয়ে ভবিষ্যতের জন্য তৈরি হওয়ার অঙ্গ। এই বদলের সঙ্গে মানাতে পারলে এগোনো যাবে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)